Views Bangladesh Logo

বিয়ের পর বনিবনা না হওয়ায় ঘটককে গাছে বেঁধে মারধর

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

গুড়ার শেরপুরে বিয়ের ঘটকালি করার দায়ে মজিবর শেখ (৬৫) নামের এক ব্যক্তিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে তিনি বগুড়ার শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনাটি ঘটে গত রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামে।

আহত মজিবর শেখ ওই ইউনিয়নের ওমরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় তার ছোট ভাই নজরুল শেখ শেরপুর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, ‘রোববার রাতে মজিবর শেখকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জুন সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের (২১) সঙ্গে শাজাহানপুর উপজেলার ঘাসুরিয়া গ্রামের মো. মুন্নার (২৮) বিয়ে হয়। এই বিয়েতে ঘটক ছিলেন মজিবর শেখ। বিয়ের পর থেকেই বরপক্ষের সঙ্গে কনের পরিবারের মতবিরোধ দেখা দেয়।

আহত মজিবর শেখ হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় জহুরুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন উপহারের কথা বলে বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে আমাকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে লাঠি দিয়ে হাতে, পায়ে ও মাথায় এক ঘণ্টা ধরে পেটানো হয়। পরে আমার ভাই আমাকে উদ্ধার করেন।’

এ বিষয়ে কনের বাবা জহুরুল ইসলাম জানান, ‘বিয়ের দুই দিন পর থেকেই মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন খারাপ ব্যবহার শুরু করে। ঘটক মজিবর শেখ বলেছিলেন ছেলের পরিবার ভালো, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে ডেকে একটু মারধর করেছি।’

অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মজিবর শেখের ছেলে সোনাউল্লাহ শেখ। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা কোনো পেশাদার ঘটক নন। টাকার বিনিময়েও ঘটকালি করেন না। এভাবে ডেকে নিয়ে নির্যাতন অমানবিক।’

শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ