বার্নাব্যুতে রিয়ালকে হারাল ম্যানসিটি
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আগের ম্যাচে সেল্টা ভিগোর কাছে হারের পর চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানসিটির বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২–১ গোলে হারল রিয়াল মাদ্রিদ। এই হারকে ঘিরে আবারও বেড়েছে কোচ জাবি আলোনসোর ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা—এ ম্যাচটিই ছিল তার শেষ পরীক্ষা বলে মনে করা হচ্ছিল, এবং সেখানেও ব্যর্থ স্প্যানিশ কোচ।
এই জয়ে ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চার নম্বরে উঠে এসেছে ম্যানচেস্টার সিটি। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পাওয়া রিয়াল নেমে গেছে সপ্তম স্থানে। আঙুল ও মাংসপেশির চোটে এমবাপে পুরো ম্যাচ বেঞ্চে থাকলেও সিটি ফরোয়ার্ড আর্লিং হালান্ড ঝলসে উঠেছেন—তার ৫০তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে এটি ৫১তম গোল।
ম্যাচের শুরুতে রিয়াল স্পষ্ট দাপট দেখায়। তিন মিনিটে পেনাল্টি পেলেও VAR জানায় ফাউলটি বক্সের বাইরে, ফলে ফ্রি-কিকে বদলে দেওয়া হয় সিদ্ধান্ত। ভিনিসিয়ুস বেশ কয়েকবার আক্রমণ করলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। ২৮ মিনিটে রদ্রিগোর শটে রিয়াল এগিয়ে যায়—৩২ ম্যাচে এটি ছিল তার প্রথম গোল। তবে ৩৪ মিনিটে কর্নার থেকে সিটি সমতা ফেরায়; কোর্তোয়া প্রথমে জিভারদিওলের হেড ঠেকালেও ফিরতি শটে নিকো ও’রেইলি গোল করেন।
৩৯ মিনিটে রুদিগারের ফাউলে হালান্ড পেনাল্টি পান এবং সিটি ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। বিরতির আগেই কোর্তোয়া দুই দারুণ সেভে ব্যবধান আর বাড়তে দেননি। দ্বিতীয়ার্ধে বেলিংহাম ও রিয়ালের আরও কয়েকটি সুযোগ নষ্ট হয়; যোগ করা সময়েও আক্রমণ জারি রেখেও গোল পায়নি স্বাগতিকরা।
পুরো ম্যাচে রিয়ালের ১৬ শটের মাত্র একটি ছিল লক্ষ্যে, বিপরীতে সিটির ১২ শটের ৮টিই ছিল অন-টার্গেট—কোর্তোয়ার কারণে বড় ব্যবধানে হারতে হয়নি রিয়ালকে।
অন্যান্য ম্যাচ
আর্সেনাল ক্লাব ব্রুগের মাঠে ৩–০ গোলে জিতে ছয় ম্যাচে ছয় জয় তুলে নিয়ে শীর্ষে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করেছে। ননি মাদুয়েকে দু’টি ও মার্তিনেল্লি একটি গোল করেন।
পিএসজি অ্যাথলেটিকোর মাঠে গোলশূন্য ড্র করে। নিউক্যাসল লেভারকুসেনের বিপক্ষে ২–২ ড্র, নাপোলি বেনফিকার কাছে ২–০ হারে। জুভেন্টাস ২–০ গোলে পাফোসকে হারায়। ডর্টমুন্ড ও বোদো/গ্লিমটের ম্যাচ ২–২ ড্র হয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে