নির্যাতনের কারণে স্ত্রী তালাক দেয়ায় সৎ ছেলেকে হত্যা: র্যাব
পারিবারিক নির্যাতনের কারণে স্ত্রীকে তালাক দেয়ার ঘটনায় সৎ ছেলেকে হত্যার অভিযোগে আজহারুল সরদার (৩৬) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গোপন তথ্য ও নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৬ এর সহায়তায় রোববার (১৭ আগস্ট) রাতে খুলনার হরিণটানা থানার জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার র্যাব-১০ এর একটি দল।
সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ এর কমান্ডার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত বাবা আজহারুল স্বীকার করেছেন যে, ১৪ আগস্ট রাতে তিনি কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় তার ভাড়া বাসায় তোয়ালে দিয়ে শ্বাসরোধ করে সৎ ছেলে রাকিবুল সরদারকে হত্যা করেন।
তিনি জানান, পারিবারিক নির্যাতনের কারণে কয়েক মাস আগে স্ত্রী তোফুরা খাতুন (৩৪) আদালতের মাধ্যমে তালাক দেয়ায় ক্ষোভের বশে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তোফুরা ও রাকিবুল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের নাজিরবাগ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। রাকিবুল স্থানীয় একটি এমব্রয়ডারি কারখানায় কাজ করতেন। তোফুরার প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর দুই বছর আগে তিনি আজহারুলকে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের পর থেকেই তাদের সম্পর্ক দ্রুত অবনতি হয়।
র্যাব কমান্ডার জানান, ১৪ আগস্ট সকালে রাকিবুল কাজে বেরিয়ে আর ফিরে আসেননি। খোঁজ না পেয়ে তোফুরা আজহারুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আজহারুল তখন দাবি করেন, রাকিবুল তার সঙ্গে সাতক্ষীরায় আছে এবং তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য বিকাশে টাকা চান। তোফুরা সেই টাকা পাঠান। কিন্তু ১৬ আগস্ট তোফুরাকে ফোনে জানানো হয়, রাকিবুলের মরদেহ আজহারুলের বাসায় পাওয়া গেছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় জরুরি নম্বর ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে চুনকুটিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ১৭ আগস্ট দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন তোফুরা। এরপর র্যাবের সমন্বিত অভিযানে আজহারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তিনি হত্যাকাণ্ড এবং মরদেহ গোপনের চেষ্টা স্বীকার করেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে