Views Bangladesh Logo

সাংবাদিকদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেয়া ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার

ঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিদুর রহমানের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে ‘সন্ত্রাসী’ বলে গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পরপরই তাকে করতোয়া নদীর আওলিয়া ঘাটের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) করতোয়া নদীর আওলিয়া ঘাটে সাংবাদিকদের তিনি ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেন। এতে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।

এদিন মহালয়ার অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনার তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে স্মরণসভা এবং সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে যান। ওই দুর্ঘটনায় ৭১ জনের প্রাণহানি ঘটে।

ঘাটে কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাহমিদুর রহমান সাংবাদিকদের নৌকায় উঠতে বাধা দেন। একই সময়ে তিন–চারটি নৌকায় মোটরসাইকেলসহ যাত্রী পারাপার হতে দেখা যায়। সাংবাদিকরা প্রশ্ন তোলেন, যখন অন্যরা মোটরসাইকেল নিয়ে পারাপার হচ্ছেন, আমরা কেন সংবাদ সংগ্রহের কাজে যেতে পারব না?

ক্ষুব্ধ হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনি আল জাজিরার সাংবাদিক হন বা যেই সাংবাদিক হন, তাতে আমার যায় আসে না। যেতে পারবেন না।’ সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখা মাত্রই তিনি আরও রেগে যান এবং বলেন, ‘আপনারা সন্ত্রাসী, আপনাদের কর্মকাণ্ড সন্ত্রাসমূলক।’ শতাধিক মানুষের সামনে সাংবাদিকদের এভাবে অপমানিত করার ফলে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে আজকের পত্রিকার পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি ফাহিম হাসান বলেন, আমরা মহালয়ার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে বাধা দেন। অথচ ঘাট ফাঁকা ছিল এবং অন্যরা মোটরসাইকেল নিয়ে নদী পার হচ্ছিল। এমনকি ইউএনও নিজেও মোটরসাইকেল নিয়ে নৌকায় পারাপার করছিলেন। তাহলে সাংবাদিকদের কেন বাধা দেয়া হলো?

কালবেলার সাংবাদিক মোশারফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের সাংবাদিক পরিচয় শুনে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, ‘আল জাজিরা সাংবাদিক হন বা যেই সাংবাদিক হন, যেতে পারবেন না।’ এরপর তিনি আমাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা তো সন্ত্রাসী।’ এভাবে সাংবাদিকদের সন্ত্রাসী বলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

ঘটনাস্থলে উপস্থিত বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, ‘আপনাদের ইচ্ছে মতো করুন।’

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাহমিদুর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে আওলিয়া ঘাটের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ