Views Bangladesh Logo

সরবরাহ কম ও চাঁদাবাজির কারণে ইলিশের দাম বৃদ্ধি: মৎস্য উপদেষ্টা

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

দেশে ইলিশ মাছের লাগামহীন দাম বৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে সরবরাহ কম এবং অব্যাহত চাঁদাবাজিকে চিহ্নিত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

রোববার (২০ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে ফরিদা আখতার বলেন, ইলিশের সরবরাহ কম থাকার পেছনে মূল্য বৃদ্ধি প্রধান কারণ হলেও মধ্যস্বত্বভোগীদের অব্যাহত চাঁদাবাজি কারণে দাম বেড়েই চলেছে। তিনি আরও বলেন, ‘চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তবে এটি এখনো পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি।”

উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে দেশে ইলিশের মৌসুম চলছে। এই সময়ে ‘জাতকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’সহ নানা সংরক্ষণমূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ১২ জুন থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত মৎস্যজীবীরা ৪৬,৭৯০ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ করেছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট উৎপাদন ৫.৩৮ থেকে ৫.৪৫ লাখ মেট্রিক টনের মধ্যে হতে পারে। তবে আগের অর্থবছরের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

জাটকা অর্থাৎ ছোট ইলিশ অবাধে ধরা বন্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ। তবে তা শতভাগ সফল হয়নি। এ ছাড়াও ইলিশ সরবরাহ হ্রাসের কারণ হিসেবে নদীর গভীরতা হ্রাস, দূষণ, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং তাপদাহের মতো পরিবেশগত চ্যালেঞ্জগুলো দায়ী বলে উল্লেখ করেন প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।

তিনি জানান, সম্প্রতি টানা বর্ষণ ও ঝড়ের কারণে অনেক জেলে মাছ ধরতে পারেননি। এরপরও প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে কিছু জেলে ইলিশ আহরণে সক্ষম হয়েছেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানান, ঢাকায় ছোট আকারের ইলিশের দাম প্রতি কেজি ২ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে, যা অনেক ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।  তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমতে পারে। তিনি আরও জানান, মুখ্য উপদেষ্টার কার্যালয় দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিচ্ছে। বরিশাল এবং চট্টগ্রামে দাম তুলনামূলকভাবে কম।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের চাহিদা মেটাতে এরই মধ্যে এক-দুইটি দেশে পরীক্ষামূলকভাবে ইলিশ রপ্তানি পাইলট প্রকল্প শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ