প্রথম আলো–ডেইলি স্টারে লুটের টাকায় টিভি–ফ্রিজ কেনে নাইম
রাজধানীতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তাদের মধ্যে এক ব্যক্তি একাই লুট করেন দেড় লাখ টাকা। যা দিয়ে তিনি পরে টিভি ও ফ্রিজ কেনেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও ডিএমপির সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, এ ঘটনায় লুট হওয়া ৫০ হাজার টাকাসহ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মো. নাইম (২৬) নামের এক ব্যক্তিকে। তিনি রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাইম স্বীকার করেছেন, তিনি মোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেন। এই অর্থ দিয়ে মোহাম্মদপুর থেকে একটি করে টিভি ও ফ্রিজ কেনেন। প্রেস উইং জানিয়েছে, এসব সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।
ডিএমপি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত বাকিরা হলেন- আকাশ আহমেদ সাগর (২৮), আব্দুল আহাদ (১৮), মো. বিপ্লব (২২), নজরুল ইসলাম ওরফে মিনহাজ (২০), মো. জাহাঙ্গীর (২৮), সোহেল রানা (২৪), মো. হাসান (২২), রাসেল ওরফে সাকিল (২৮), আব্দুল বারেক শেখ ওরফে আলামিন (৩১), রাশেদুল ইসলাম (২৫), সোহেল রানা, শফিকুল ইসলাম (৩৪), প্রান্ত সিকদার ওরফে ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, আবুল কাশেম, রাজু হোসাইন চাঁদ ও সাইদুর রহমান (২৫)।
পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রোববার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে জানিয়েছেন, হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ইতোমধ্যে ৩১ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের কাছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের মধ্যে তিনজনকে ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে।
প্রেস উইং জানিয়েছে, গ্রেপ্তরকৃতদের মধ্যে সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদকসহ অন্যান্য আইনে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা আছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয় কারওয়ান বাজার রেললাইন এলাকা থেকে। একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অতীতে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা আছে।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যারা উসকানি দিয়েছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয় ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে দ্য ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর, আগুন ও লুটপাট করে একদল লোক। এ ঘটনায় রোববার রাতে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে