Views Bangladesh Logo

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন বৃহস্পতিবার

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে ১৭৭ জন এবং হল সংসদের বিভিন্ন পদে ৪৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টায় সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে ৯ জন ও জিএস পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে শেষ মুহূর্তে জিএস পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া। অন্যদিকে হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পেলেও চেম্বার আদালতে এ রায় স্থগিত হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়।

নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৯১৯ জন, যার ৪৮.৮ শতাংশ ছাত্রী। গতকাল সকাল থেকে প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়েছেন। প্রার্থীরা আশা করছেন, শিক্ষার্থীরা তাদের আদর্শ, যোগ্যতা, নৈতিকতা ও শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ বিবেচনা করে যোগ্য প্রার্থী বেছে নেবেন।

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন প্যানেলের জিএস প্রার্থী শাকিল আলী বলেন, ‘সব হলের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো কঠিন। গণঅভ্যুত্থানের আগে ও পরে যারা শিক্ষার্থীদের পক্ষে থেকে কাজ করেছেন, তাদের যেন শিক্ষার্থীরা বেছে নেন।’

ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যোগ্য, নৈতিকভাবে সৎ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করবেন– এমন প্রার্থীদের বেছে নিবেন বলে প্রত্যাশা করি।’

এদিকে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, বিভিন্ন হলে মোট ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হবে। ব্যালট পেপারে টিক চিহ্নের মাধ্যমে ভোট দিতে হবে এবং প্রতি ২০০ ব্যালট পেপারের জন্য একটি করে বাক্স থাকবে। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের জন্য আলাদা ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হবে। ভোট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী থেকে ৬৭ জন পোলিং এজেন্ট এবং ৬৭ জন সহকারী অফিসার নিযুক্ত থাকবেন।

অন্যদিকে নিরাপত্তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি গেটে এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও ভোটকেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন আনসার সদস্যরাও।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, হল সংসদ নির্বাচনে বেগম সুফিয়া কামাল হল ও নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ায় এই দুই হলে শুধু কেন্দ্রীয় সংসদের ভোটগ্রহণ হবে। বেগম সুফিয়া কামাল হলে ১৫টি পদের মধ্যে ১০টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা এবং বাকি ৫টি পদ শূন্য রয়েছে। একই চিত্র নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলেও, যেখানে ১৫টি পদের মধ্যে ৬টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা এবং ৯টি পদ শূন্য রয়েছে।

নির্বাচনের আগে বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্টে অংশ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংসদের ১৬৩ জন ও হল সংসদের ৪০৩ জন প্রার্থী। তবে এই পরীক্ষায় অংশ নেননি ৫৬ জন প্রার্থী।


মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ