ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বামপন্থি জোটের রোডমার্চ শুরু
বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের দাবিতে ‘সাম্রজ্যবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক জনতা’ নামে একটি বামপন্থি দল ও সংগঠনের জোট শুক্রবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ শুরু করেছে।
রোডমার্চটি আজ সকালে ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশের মাধ্যমে শুরু হয়।
জোটের চারটি প্রধান দাবি হচ্ছে
১. চট্টগ্রাম বন্দরসহ নিউ মুরিং টার্মিনালের ব্যবস্থাপনা রাষ্ট্রের হাতে রাখা,
২. রাখাইন হয়ে ট্রানজিট করিডোর তৈরির পরিকল্পনা বাতিল,
৩. ইলন মাস্কের স্টারলিংক প্রকল্পের সঙ্গে চুক্তি বাতিল,
৪. সাম্রাজ্যবাদী শক্তি—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে সব অসম চুক্তি বাতিল ও তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা।
প্রতিবাদকারীরা বিভিন্ন স্লোগানযুক্ত প্ল্যাকার্ড বহন করছিলেন, যেমন: ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাম্রাজ্যবাদের দারোয়ান’ এবং ‘বন্দর ও করিডোর বিদেশিদের জন্য নয়’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের গণআন্দোলনের মূল অনুপ্রেরণা ছিল প্রকৃত গণতন্ত্র ও সাম্রাজ্যবাদমুক্ত দেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা। আমাদের ইম্পেরিয়ালিজম বিরোধী সংগ্রাম এখনো চলছে।’
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে বলেন, ‘যদি বন্দরের ব্যবস্থাপনা কিংবা করিডোর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা বন্ধ না করা হয়, তাহলে আমরা আগামীকাল আরও বড় কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
প্রধান বাম নেতাদের মধ্যে ছিলেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম (সাবেক সিপিবি সভাপতি), বজলুর রশীদ ফিরোজ (সোস্যালিস্ট পার্টি), মুশতাক হোসেন (বাংলাদেশ জাসদ), নাসিরউদ্দিন আহমেদ (পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট) ও এমএম আকাশ (তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ রক্ষা কমিটি)।
অসুস্থতার কারণে সরাসরি উপস্থিত না থাকলেও সমর্থন জানিয়েছেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও আনু মুহাম্মদ।
রোডমার্চটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পথসভা করবে। আজ সন্ধ্যায় কুমিল্লা টাউন হলে একটি বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আগামীকাল ফেনীর শহীদ মিনারে একটি সমাবেশ এবং বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম বন্দরে চূড়ান্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শেষ হবে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে