আবারও বিপৎসীমায় কাপ্তাই হ্রদের পানি, খোলা হলো ১৬ জলকপাট

নয় দিন বন্ধ থাকার পর আবারও বিপৎসীমায় পৌঁছেছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। ফলে বুধবার (২১ আগস্ট) রাত ৮টা ৮ মিনিটে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট (স্পিলওয়ে গেট) ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেয়া হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।

কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান জানান, গত কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টি, উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও পাহাড়ি প্রবাহে হ্রদের পানির উচ্চতা বিপৎসীমায় পৌঁছে যায়। ফলে চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো পুনরায় বুধবার বাঁধের স্পিলওয়ের ১৬টি গেট খুলে দিয়ে ৬ ইঞ্চি করে পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি পার্শ্ববর্তী কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রয়েছে এবং সেখান থেকে ২২০ থেকে ২২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলীতে অপসারিত হচ্ছে। বিকেল ৫টায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ১০৮ দশমিক ৩৫ ফুট এমএসএল, যেখানে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল।

এর আগে টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে গত ৫ আগস্ট রাত থেকে ৭ দিন টানা বাঁধের সবগুলো জলকপাট খোলা রাখা হয়েছিল। পরে পানি নিয়ন্ত্রণে এলে গত ১২ আগস্ট সকাল থেকে গেটগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে নতুন করে পানির চাপ বাড়ায় আবারও গেট খুলতে হলো।

সর্বশেষ গত ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ফুট করে সবগুলো জলকপাট খোলা হয়েছিল। তখন প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬৮ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে ছাড়া হয়। পরে পানির চাপ কমে আসায় ধাপে ধাপে গেট বন্ধ করে দেয়া হয়।