জাকসু নির্বাচনে ভিপি স্বতন্ত্র, জিএস-এজিএসসহ ২০ পদে ছাত্রশিবির
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির। মোট ২৫টি পদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ (এজিএস নারী-পুরুষ) ২০টি পদেই জিতেছেন শিবিরের সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থীরা। গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) প্যানেল শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম দুটি পদ পেলেও সহ-সভাপতিসহ (ভিপি) তিনটি পদে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন প্যানেল থেকে আব্দুর রশিদ জিতু ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন। আর জিএস পদে মো. মাজহারুল ইসলাম, এজিএস (পুরুষ) পদে ফেরদৌস আল হাসান ও এজিএস (নারী) পদে নির্বাচিত আয়েশা সিদ্দীকা মেঘলা শিবির প্যানেলের প্রার্থী।
কেন্দ্রীয় সংসদে সম্পাদকীয় পদগুলোতে ছাত্র শিবিরের বিজয়ী অন্যরা হলেন, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আবু ওবায়দা ওসামা, পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মো. শাফায়েত মীর, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. রায়হান উদ্দীন, নাট্য সম্পাদক মো রুহুল ইসলাম, সহ ক্রীড়া সম্পাদক (নারী) ফারহানা আক্তার লুবনা, সহ ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ) মো. মাহাদী হাসান এবং তথ্য প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম লিখন। কার্যকরী সদস্য (পুরুষ) পদের দুটিতে নির্বাচিত মো. তরিকুল ইসলাম ও মো. আবু তালহা এবং কার্যকরী সদস্য (নারী) পদের তিনটিতে নির্বাচিত নাবিলা বিনতে হারুণ, ফাবলিহা জাহান ও নুসরাত জাহান ইমা শিবির প্যানেলের প্রার্থী।
বাগছাসের প্যানেল থেকে নির্বাচিত অন্য দুজন হলেন, সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আহসান লাবিব ও কার্যকরী সদস্য (পুরুষ) পদের একটিতে মোহাম্মদ আলী চিশতী। নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্যানেলের অন্য দুজন হলেন, ক্রীড়া সম্পাদক মাহমুদ হাসান কিরন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মহিবুল্লাহ শেখ জিসান।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া পাঁচটায় জাকসু ও ২১টি হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা ভোটগ্রহণ শেষে রাত সোয়া ১০টায় ভোট গণনা শুরু হলেও পরে ম্যানুয়ালি ভোট গণনার সিদ্ধান্ত হয়। এ জটিলতায় নির্বাচনের দুদিন পরে ফলাফল প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
তবে ভোট জালিয়াতি ও কারচুপির অভিযোগে বহুল প্রতীক্ষিত এই নির্বাচন বয়কট করেছেন ছাত্রদলসহ চারটি প্যানেল ও পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকা ও নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে দুজন নির্বাচন কমিশনারসহ বিএনপিপন্থি চার শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।
এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ২৫টি পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ১৭৭ জন। ২১টি হল সংসদে ১৫টি করে মোট ৩১৫টি পদে ৪৭৭ জন প্রার্থী হয়েছেন। তবে ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতেই কোনো প্রার্থী নেই। একজন করে প্রার্থী রয়েছেন ৬৭টি পদে। সে হিসেবে মাত্র ২৪টি পদে ভোট হয়েছে।
জাকসু ও হল সংসদগুলোতে মোট ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী ভোটারের ছয় হাজার ১১৫ জন ছাত্র এবং পাঁচ হাজার ৭২৮ জন ছাত্রী। প্রায় ৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে