Views Bangladesh Logo

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে যেতে চায় জাতীয় পার্টি

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা থাকলেও প্রার্থী বাছাই ও নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগের সাবেক মিত্র জাতীয় পার্টি (জাপা)। দলটি জানিয়েছে, শেষ পর্যন্ত যদি ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পায়, তাহলে জোরেশোরে নির্বাচনী মাঠে নামবে তারা।

দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, সুযোগ পেলে এককভাবে নয়, বরং জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় জাতীয় পার্টি। প্রয়োজনে বিএনপি বা জামায়াতে ইসলামী— যেকোনো একটি দলের সঙ্গে জোট করতেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে তারা।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানিয়েছেন, ৩০০টি আসনেই প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে এবং কিছু আসনে প্রার্থী তালিকা প্রায় চূড়ান্ত। তিনি বলেন,
“পার্টির চেয়ারম্যান অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমাদের ধারণা আছে কোন আসনে কে প্রার্থী হতে পারেন। প্রার্থী ঘোষণা করতে বেশি সময় লাগবে না।”

যদিও দলটি প্রাথমিকভাবে সব আসনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, শেষ পর্যন্ত কতগুলো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর।

জাতীয় পার্টির নেতারা মনে করছেন, জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে দলের আসন সংখ্যা ও প্রভাব বাড়বে। শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন,
জোটবদ্ধভাবে অংশ নিলে জাতীয় পার্টির পাশাপাশি সহযোগী দলেরও আসন ও ভোট বাড়বে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। আমরা জানি, অনেক দল আমাদের সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী, আমরাও আগ্রহী। তবে সবকিছু নির্ভর করবে তফসিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর।’

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে। তবে জাতীয় পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

ইসি সূত্র জানায়, দলটির অভ্যন্তরীণ বিভাজনের কারণে তারা কমিশনে আলাদা কমিটি গঠন করে জমা দিয়েছে। ইসি বলেছে, দলটি যদি নিজেদের অভ্যন্তরীণ সংকট মেটাতে পারে, তবে কমিশন তাদের সঙ্গে সংলাপ ও ভোট-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা আছে। এটা তারা ফয়সালা করলে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।’

আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত ও নিষিদ্ধ হওয়ার পর জাতীয় পার্টিও রাজনৈতিকভাবে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। যদিও দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়নি এবং নিবন্ধনও স্থগিত হয়নি, ফলে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে কোনো আইনি বাধা নেই।

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে একবার বৈঠকে অংশ নিলেও পরবর্তী সংলাপগুলোয় দলটিকে আর আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

জাতীয় পার্টি মনে করছে, তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনিশ্চয়তা কেটে যাবে, তখনই তারা সম্ভাব্য জোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

জাপা মহাসচিবের ভাষায়, ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জোটের একটি সুযোগ তৈরি হয়েছিল, যা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। এবারও বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না জাতীয় পার্টি।

তিনি বলেন, ‘এটি কতটা বাস্তব হবে, তা নির্ভর করবে তফসিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক পরিবেশ কেমন থাকে তার ওপর।’

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ