বন্যার শঙ্কা: চার শহরের ৪৬ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিচ্ছে জাপান
ভারি বৃষ্টিপাতে বড় ধরনের বন্যার বিষয়ে পূর্বাভাসের পর মধ্য জাপানের চারটি শহরের ৪৬ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয় সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা বিবিসি এর আগে জানিয়েছিল, ওয়াজিমা শহরের প্রায় ১৮ হাজার এবং সুজু শহরের আরও ১২ হাজার মানুষকে হনশু দ্বীপের ইশিকাওয়া অঞ্চলে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টিপাত বাড়ায় ইশিকাওয়ার উত্তরে নিগাতা ও ইয়ামাগাতা অঞ্চলের আরও ১৬ হাজার বাসিন্দাকেও সরে যেতে বলা হয়- জানিয়েছে এএফপি।
ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ওইসব অঞ্চলে সর্বোচ্চ সতর্কতা স্তর জরুরি অবস্থাও জারি করেছে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ)।
জাপানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকে সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, প্রবল বৃষ্টিতে ১২টি নদীর তীর ভেঙে গেছে। এনএইচকে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজেও দেখা গেছে, ওয়াজিমা শহরের সম্পূর্ণ রাস্তা পানির নিচে ডুবে আছে। গাড়িগুলো অর্ধেক ডুবে গেছে।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ইশিকাওয়ায় তিনটি নদী আশেপাশের জনপদে উপচে পড়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও অগ্নিনির্বাপণ সংস্থা জানায়, ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত একটি বাড়ি।
ওয়াজিমাতে শনিবার সকালে এক ঘণ্টায় ১২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, পার্শ্ববর্তী সুজুতে ৮৪.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। শহর দুটিতে যা সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের ঘটনা।
এ বছরের নববর্ষের দিনে জাপানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল নোটো উপদ্বীপের ওয়াজিমা এবং সুজু। ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের আঘাতে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সুজু, ওয়াজিমা এবং আশেপাশের এলাকাগুলো এখনও ওই ভূমিকম্পের ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এর মধ্যে নতুন করে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিলো।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে