তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে জামায়াত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার, (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন তফসিল ঘোষণা করার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দলটির পক্ষ থেকে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের শুভেচ্ছা জানান।
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘সন্দেহ সংশয়ের অবসান হয়েছে তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে। এ তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো অনিশ্চয়তা থাকলে এ তফসিলের মাধ্যমে কেটে যাবে। তবে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যাশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন। ইসির ওপর যে দায়িত্ব, তা পালনে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবেন আশা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত তিন নির্বাচনে জাতীর প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। আগামী নির্বাচনে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হবে বলে আশা করি। গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা এ নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
সমঝোতার ভিত্তিতে ৩০০ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতের এ নেতা।
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইসলামী আট দলীয় সমঝোতার ভিত্তিতে আসনের চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।’
এর আগে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন আজ সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানান, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি একযোগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়পত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১১ জানুয়ারি এবং আপিল নিষ্পত্তি হবে ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনি প্রচার শুরু হবে ২২ জানুয়ারি, প্রচার শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। ১২ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ৩০০ সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে