সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় হতাহত ১৪ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর নাম প্রকাশ

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত ও আহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের পরিচয় প্রকাশ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নামগুলো জানানো হয়।

গতাকাল (১৩ ডিসেম্বর) হামলায় ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত এবং আরও আটজন আহত হওয়ার ঘটনা প্রকাশ করে আইএসপিআর।

আইএসপিআর জানায়, নিহতরা হলেন নাটোরের করপোরাল মো. মাসুদ রানা, কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম ও সৈনিক শান্ত মন্ডল, রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা, কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।

আহত শান্তিরক্ষীরা হলেন কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান, দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন, ঢাকার করপোরাল আফরোজা পারভিন ইতি, বরগুনার ল্যান্স করপোরাল মহিবুল ইসলাম, কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির, রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার, মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী এ ড্রোন হামলা চালায়। এতে দায়িত্বে থাকা ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং আটজন আহত হন।

আইএসপিআর জানায়, আহতদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তার সফল অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অন্য সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তারা সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, শহীদ শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের গৌরবময় প্রমাণ হয়ে থাকবে। একই সঙ্গে শহীদদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।