সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ৮ জানুয়ারি
জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে হত্যা-গণহত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক পাঁচটি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে আগামী বছরের ৮ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, কামাল আহমেদ মজুমদার, সোলাইমান সেলিম ও শাজাহান খান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) মামলাগুলোর তদন্তের জন্য তিন মাসের সময়ের আবেদন জানান প্রসিকিউশন। শুনানি শেষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ দিন ধার্য করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
২০ এপ্রিল ও ২০ জুলাই সাবেক ওই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। দুবারই মামলাগুলোর তদন্তে তিন মাস করে সময় চান প্রসিকিউশন। সর্বশেষ ২০ জুলাই আবেদন মঞ্জুর করে ১৫ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
সকালে কেরাণীগঞ্জ, কাশিমপুর ও নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। এরপর পর্যায়ক্রমে তাদের এজলাসে তোলা হয়।
ট্রাইব্যুনালের সামনে নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। প্রায় সবাইকে তল্লাশি চালিয়ে ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ১২ জন সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টাসহ ১৯ জন আসামিকে হাজির করে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো (শ্যো’ন অ্যারেস্ট) হয়। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে