অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুডে যেতে হবে: আমীর খসরু
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এখন থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুডে যেতে হবে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া টানা ১৫ মাস ধরে দেশ চলছে, যা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। বর্তমান সরকারের কাছে জনগণের কোনো প্রত্যাশা নেই, কারণ তাদের ম্যান্ডেট নেই।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। নিরপেক্ষ নির্বাচনই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ খুলে দিতে পারে। এছাড়া সরকারের ভেতরের কিছু ব্যক্তি নিয়োগ ও পদায়নে প্রভাব খাটাচ্ছেন, যা নিরপেক্ষতার পরিবেশ নষ্ট করছে। এসব ব্যক্তির উপস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করতে পারবে না। সরকারের ভেতরের কিছু লোকের কারণে যদি পরিস্থিতি বিঘ্নিত হয়, তবে সেটি সরকারেরই সম্মানহানি ঘটাবে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশে এখন কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন কিংবা শিক্ষাঙ্গন সবখানেই জবাবদিহির ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, যত দ্রুত সম্ভব জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। নির্বাচিত সরকার না থাকায় রাষ্ট্রের সবখাতে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। যাদের পদত্যাগ করার কথা, তারাও এখনও পদে বহাল আছেন, যা প্রশাসনিক জটিলতা বাড়াচ্ছে।
আমীর খসরু বলেন, বর্তমান সরকারের উচিত এখন বড় কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া। দৈনন্দিন প্রশাসনিক কাজেই সীমাবদ্ধ থাকা প্রয়োজন, না হলে জনমনে প্রশ্ন উঠবে।
তিনি জানান, বিএনপি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করছে। দলটি বিশৃঙ্খলা নয়, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবর্তনে বিশ্বাসী। জনগণের কাছে গিয়ে ইশতেহার ও দাবি তুলে ধরাই এখন বিএনপির লক্ষ্য।
দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিএনপি বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরোধী জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোনো বিষয়ে বাইরের শক্তির হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল জয়নুল আবেদিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন মাসুদ প্রমুখ।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে