এগ্রোকালচার ও অটোমোবাইল খাতে নীতি সহায়তার আশ্বাস শিল্প উপদেষ্টার

শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান জানিয়েছেন, এগ্রোকালচার ও অটোমোবাইলস খাতকে এগিয়ে নিতে শিল্প মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক নীতি সহায়তা দেবে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী ‘রোড টু মেইড ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড এগ্রো মেশিনারি ফেয়ার ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশ্বাস দেন।

মেলায় অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতি ও হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল এবং শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের আরও ১২টি স্টল অংশ নেয়। উদ্বোধন করেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

তিনি বলেন, ‘এগ্রিকালচার, অটোমোবাইল ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাত। সরকার ইতোমধ্যেই বিভিন্ন নীতি ও অবকাঠামো সহায়তা দিচ্ছে। এ প্রদর্শনী নতুন বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে এবং শিল্প মন্ত্রণালয় এই খাতগুলোকে এগিয়ে নিতে আরও সহায়তা করবে।’

অর্থনীতিবিদ মাসরুর রিয়াজ বলেন, ‘দেশে মুক্ত বাজার অর্থনীতি শুরু হয়েছিল ১৯৭৮-৭৯ সালে। এখন দেশে পণ্য উৎপাদনের ওপর জোর দিতে হবে। ২০২২ সালের জুনের পর থেকে ডলার বাজারে অস্থিরতা শুরু হয় এবং আমদানিতে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। বর্তমানে গাড়ি আমদানি করতে হচ্ছে, যা চাপ তৈরি করছে। তাই দেশীয় অটোমোবাইল শিল্প গড়ে তুলতে সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন।’

বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, ‘অটোমোবাইল ও কৃষি শিল্পকে প্রমোট করার জন্য এ আয়োজন করা হয়েছে। লাইট ইন্ডাস্ট্রিজ খাতও উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও টেকসই অর্থনীতির জন্য আমরা এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নই, ধীরে ধীরে সেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গার্মেন্টস, কৃষি ও রেমিট্যান্স এই তিন খাত দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখছে। বর্তমানে রপ্তানি আয়ের ৮৩ শতাংশই গার্মেন্ট খাত থেকে আসছে।’

শেষে বিসিআই সভাপতি জানান, ‘সরকার ব্যাংকিং খাতে সংস্কার এনেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রতি মাসেই ইতিবাচক রয়েছে এবং অর্থ পাচারও কমে এসেছে। এসব পরিবর্তন দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’