প্রথম পর্ব
ভেবেছিলাম হয়তো ক্রিকেটার হব, হয়ে গেলাম সুরকার
উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুরকার ও সংগীত পরিচালক শেখ সাদী খান। বাংলাদেশের সংগীতের জাদুকর বলে অভিহিত করা হয় তাকে। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য কালজয়ী গান। উল্লেখযোগ্য- ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়’, ‘ডাকে পাখি খোলো আঁখি’, ‘হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে/ একটি কথাই শুধু জেনেছি আমি/ পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘আমি চিরকাল প্রেমেরই কাঙাল’ গানগুলো অন্যতম। ২০০৬ সালে ‘ঘানি’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক বিভাগে এবং ২০১০ সালে ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সুরকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। শিল্পকলা ও সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।
শেখ সাদী খান ১৯৫০ সালের ৩ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিবপুর গ্রামের এক সংগীত সমৃদ্ধশালী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা উপমহাদেশের বিখ্যাত সুর সাধক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ। সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ তার চাচা। তার পিতার হাত ধরে সংগীত শিক্ষা শুরু করেন। প্রথমে তবলা ও তারপর বেহালা শেখেন। তার শৈশব কাটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লায়। ১৯৮৫ সালে তার সংগীত পরিচালনায় সুখের সন্ধানে চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী মান্না দে। এছাড়া তিনি আশা ভোঁসলে, সাবিনা ইয়াসমিন, এন্ড্রু কিশোর, রুনা লায়লাসহ দেশি-বিদেশি অনেক শিল্পীর সঙ্গে কাজ করেন।
সম্প্রতি ভিউজ বাংলাদেশ-এর ‘এডিটরিয়াল ডায়ালগ উইথ রাশেদ মেহেদী’ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বরেণ্য এ সংগীতজ্ঞ। আলোচনায় উঠে এসেছে সংগীত জীবনে তার পথচলা ও নানা উত্থান-পতন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ভিউজ বাংলাদেশ-এর সম্পাদক রাশেদ মেহেদী। দুজনের কথোপকথনের দুই পর্বের প্রথম পর্ব আজ প্রকাশিত হলো।
রাশেদ মেহেদী: সংগীতের সঙ্গে আপনার শুরুটা কীভাবে হলো?
শেখ সাদী খান: যেহেতু আমি সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি, আমার মনে হয় আমি যখন মায়ের গর্বে ছিলাম তখন আমার বাবার যে সুরবাহার, সেই সুরবাহারের সুর বোধহয় আমি শুনতে পেতাম। না হয় আমি যে ছেলেটা বড় হচ্ছিলাম খেলাধুলার মধ্য দিয়ে, খেলাধুলার প্রতি যার এত বেশি টান, ভালো ফুটবলার ও ভালো ক্রিকেটার ছিলাম। রেঞ্জাস ক্লাবে ক্রিকেট খেলতাম, সেখানে দয়া করে আমাকে এক ওভার বল করতে দেয়া হয়েছিল, প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিক করে ফেললাম। মীরাক্কেল ব্যাপার-স্যাপার হয়ে গেল আর কি। তো ভেবেছিলাম হয়তো ক্রিকেটার হব।
তখন আমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি, সে সময় যেহেতু আমার বাবার কাছে অনেক ছাত্রছাত্রীরা বাসায় গান শিখতে আসতেন, সেসব আমার কানে যেত; কিন্তু ওভাবে কখনো কেয়ার করিনি। তখন খুব ডানপিঠে ছিলাম আমি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া স্কুল থেকে আমার দুষ্টুমির পরিপ্রেক্ষিতেই বোধহয় আমার বড় ভাই আবিদ হোসেন খান সাহেবের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। তখন তিনি পাকিস্তান রেডিওতে চাকরি করতেন। আমি এসে দশম শ্রেণিতে ভর্তি হলাম ধানমন্ডির এলিফেন্ট রোডের স্কুলটিতে। তখন হাই স্কুলটি নতুন শুরু হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষায় আমার একটা সাবজেক্ট খারাপ হয়ে গেল, এতে আমাকে কেউ গ্রহণ করল না। কোনোভাই আমাকে রাখবেন না। না মোবারেক হোসেন খান, না আবিদ হোসেন খান সাহেব। তারা বললেন যে ওকে তো সামাল দেয়া সম্ভব না। তখন বাবা খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন যেহেতু বাবার খুব বয়স হয়েছে।
তখন আমার মেজভাই ওস্তাদ বাহাদুর খান সাহেব বললেন, সবাই যদি আপনারা তাকে এভাবে উপেক্ষা করেন কি অবস্থা হবে। একটা কাজ করুন, আমি তো কদিন পর কলকাতায় চলে যাব, ও আমার সঙ্গে কলকাতায় কিছুদিন বেড়িয়ে আসুক। তো ভাইয়ের সঙ্গে কলকাতায় গিয়ে ভাই আমাকে আটকিয়ে ফেললেন। তখন থেকে আমি একটু একটু বেহালা শিখেছি যেহেতু বাবার হাতে তবলায় হাতেখড়ি। যেহেতু আমার পরিবারটি যন্ত্রসংগীতের পরিবার, তাই পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারের প্রত্যেককে কোনো না কোনো বাদ্যযন্ত্র বাধ্যতামূলকভাবে বাজাতে হতো। তো ওখানে নিয়ে গিয়ে ভাই বললেন, কদিন তো খুব ঘুরলা। এক কাজ করো, এমনি বসে থাকার চেয়ে বেহালাটা শিখ। এভাবে এক মাস, দুই মাস, তিন মাস তালিম দিচ্ছেন আমাকে। কখনো সন্ধ্যায়, কখনো বিকেলে। মাস যায়, বছর চলে গেল, আমাকে আর ছাড়ছে না। ভাই বললেন, বাড়িতে গিয়ে কি করবি? যেহেতু আমরা গানবাজনা পরিবারের লোক, থাকো। কিছুটা তালিম নিয়ে যাও। এভাবে তিন বছর ফেঁসে গেলাম।
রাশেদ মেহেদী: আচ্ছা, তারপর?
শেখ সাদী খান: পড়াশোনা তিন বছর বন্ধ। তখন বড় ভাই আমাকে সকালবেলার রাগ, দ্বিপ্রহরের রাগ, সন্ধ্যার রাগ, রাতের রাগ, মধ্যরাতের রাগ একেকটা করে তালিম দেয়া শুরু করলেন। সকালবেলা ১-২ ঘণ্টা অনুশীলন করি আর দুপুর বেলা ১টার ভাত খেয়ে তিনটার সময় আবার উঠে অনুশীলন করা, ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত তারপর আবার একটু নিচে ঘুরতে যাওয়া। আবার ৭টার পর এসে দু-তিন ঘণ্টা অনুশীলন করা- একদম ফিদা হয়ে গেলাম। এরকম অনুশীলন আমি জীবনেও করিনি।
একা একা বাজাতাম, কাঁদতাম। মায়ের কথা মনে হতো, ছোট ভাইবোনদের কথা মনে হতো। টপ করে বেহালার ভেতরে চোখ থেকে পানির ফোঁটা পড়ে যেতে। এরকম অবস্থা হতো আমার। তারপর তিন বছর পর বাবা চিঠি লিখলেন মেজভাই ওস্তাদ বাহাদুর খানের কাছে। চিঠিতে লিখলেন, ওর কি অবস্থা, কেমন আছে? আমার শরীরটা খুব ভালো না। তুমি যদি পার ওকে কিছুদিনের জন্য বাড়িতে পাঠাও। ওরে দেখতে মন চাচ্ছে আমার। তখন আমার বড় ভাইয়ের বয়স ৭৫ থেকে ৮০-এর কাছাকাছি বয়স। ভাই আমাকে বলল, তুমি বাড়িতে গিয়ে ঘুরে আসো। যদি আসতে পার আসো। না আসতে পারলে যতটুকু বিদ্যা তোমাকে দিয়ে দিয়েছি, সেটা দিয়ে তুমি জীবনযাপন করতে পারবে। ওই যে আমাকে গুরুজি কথাটা বলে দিয়েছেন সেটাই কিন্তু হয়েছে। আমি আসার পর বাবা আমার বাজনা শুনলেন। তখন তো বিভিন্ন ওস্তাদদের গানবাজনা শুনে নেশা হয়ে গেছে। আস্তে আস্তে সংগীতের যে গভীরতা এটা একটু একটু করে উপলব্ধি করতে শুরু করেছি আমি।
রাশেদ মেহেদী: রেডিওতে কখন অডিশন হলো?
শেখ সাদী খান: বলছি, সেই সময় আমার এলাকায় শেষ রাতে মহল্লায় গানের আসর হতো। আমি শির শির করে গানের বাজনা ধরলাম। বড় বড় ওস্তাদের বাশির বাজনা শুনেছি। খেয়াল গান শুনেছি। বাবা আমার বাজনা শুনে মনে মনে চিন্তা করলেন একটু একটু লাইনে এসে গেছে মনে হয়। একটা কাজ করি, তাকে অডিশন দিতে রেডিওতে নিয়ে যাই। বাবার ধারণা, অডিশনের জন্য সে অনুশীলন করবে, প্রোগ্রাম থাকবে তাহলে ছাড়তে পারবে না- সেই চিন্তা থেকে আমাকে তিনি নিয়ে গেলেন চট্টগ্রাম রেডিওতে। এটা ১৯৬৫ সালের কথা। সে সময় ছোট্ট একটা ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়েছিল। তো অডিশন দিতে গেলাম ওখানে রিজিওনাল ডিরেক্টর ছিলেন আশরাফুজ্জামান খান সাহেব, অ্যাসিসট্যান্ট রিজিওনাল ডিরেক্টর ছিলেন ইব্রাহিম আখন্দ, প্রোগ্রাম অর্গানাইজার ছিলেন সেলিম উদ্দিন আহমেদ, প্রোগ্রাম প্রডিওসার ছিলেন মনোরাম হোসেন। আনোয়ার পারভেজ তখন ওখানে সুরকার হিসেবে চাকরি করতেন।
তো অডিশন দেয়ার পর সবাই উঠে চলে গেল। আমি ভাবলাম কী বাজনা বাজালাম সব বিরক্ত হয়ে গেল কি না কে জানে! না হয় সবাই উঠে চলে গেলে কেন? বুঝিনি কারণ বয়স তখন হয়তো ২০-২২। আধাঘণ্টা পর বাবা নিচে নেমে আসলেন। আমি বললাম, বাবা চলেন বাসায় যাই। তিনি বললেন, তুমি যাবে না, তুমি এখানে থাকবে তো। বললাম আমি থাকব কেন? তখন বাবা বললেন- আশরাফুজ্জামান সাহেব বললেন তোমাকে এখানে রেখে দিতে। তিনি কনস্যুলেটেড বুকিং দিয়ে দিবে। তুমি মাঝে মাঝে বাজবা প্রোগ্রাম করবে আর চাকরি করবে। তারা তোমাকে ২১০ টাকা বেতনের চাকরি দিচ্ছে। তখন এটা অনেক টাকা। আমি একশ টাকা মাকে দিয়ে দিতাম আর ১১০ টাকা দিয়ে কলোনির একটা রুমে বাড়া থাকতাম, খাওয়া দাওয়া সব। আমার সঙ্গে প্রণব দাশ এরাও ছিল; কিন্তু ভালো লাগে না এভাবে। যাই আসি কিছুই করি না। এক মাস পর দেখি চার্টে আমার নাম দিয়েছে যে, আর্টিস্টের সঙ্গে আমাকে কনস্যুলেট বাজাতে হবে; কিন্তু আমি শিখেছি ক্লাসিক মিউজিক। তখন আমার খুব সমস্যা হয়ে গেল।
দুই-চার মাস যাওয়ার পর ওখানে আমার যারা আত্মীয় ছিলেন তাদের বললাম, আমি পালাতে চাই এখান থেকে। তারা বলল, আরে না মিয়া, থাকো। ক্লাসিক্যাল তালিম নিয়েছ, কমার্শিয়ালে সমস্যা হওয়ার কথা না। আমি বললাম না, আমার খুব কষ্ট হয়। তো আমি খুব কাঁদলাম যে কি বাজনার তালিম নিয়ে আসলাম আর কি বাজনা বাজাতে হচ্ছে। ১৯৬৫/৬৬/৬৭ কোনো রকম মাটি কামড়ে জিৎ করে রয়ে গেলাম। জিৎ করলাম যে, আমাকে কমার্শিয়াল বাজনা বুঝতে হবে, বাজাতে হবে। আমাকে যদি সংগীত নিয়ে জীবনযাপন করতে হয়, সংগীত নিয়ে যদি আমার পেট পূজা করতে হয় তাহলে আমাকে এটা আয়ত্ব করতে হবে।
নিজেকে নিজে তৈরি শুরু করলাম আমি। তিন বছর কাজ করে আমি ঢাকায় বড় ভাইয়ের কাছে বেড়াতে আসলাম ১৫ দিনে জন্য। বড় ভাই আমাকে বলল, চলো, ফিল্মে রেকর্ডিং আছে, ওখানে যারা মিউজিশিয়ান তারা আমার ফ্যামিলির লোক ছিল। তো ওখানে গেলে তারা বলল পেছনে বসো। পেছনে তৃতীয় সারিতে বসলাম। তখন দুই-তিন দিন রিহার্সেল হতো একটা ফিল্মি গানের। এভাবে করে কদিন ছিলাম। তারপর টেলিভিশনে গেলাম ওখানে আমার আত্মীয়স্বজনরা চাকরি করতেন। একজন সিনিয়র অফার দিলেন আমাকে যে- সাদী ভাই, আপনি টেলিভিশনে চাকরি করবেন? আমাদের তো বেহালা লাগেই। আপনি কন্ট্রাক্টে কাজ করবেন? আমি বলি করব। আমি বাসায় জিজ্ঞেস করে নিই আগে।
যা হোক, বড় ভাই বলল- জয়েন করো। জয়েন করে ভর্তি এবং পরীক্ষা দিলাম। পাস করে টেলিভিশেন নিয়মিত কাজ শুরু করলাম। তখন থেকে সুরের অনুশীলন করি আমি। যেহেতু আমি ক্লাসিক শিখেছি, আমার অন্য বন্ধুরা ক্লাসিক কিছু জানে না; কিন্তু সুর করে। আনোয়ার পারভেজের সঙ্গে আমার মামা-মামা সম্পর্ক। আমাকে বলে মামু, তুমি আমাকে সুন্দর একটা রাগ বলো তো। কলাবতী রাগটা গাও। গাওয়ার পর তিনি বললেন, আরে মামু রাগটা তো সুন্দর। আমি তখন তাদের সঙ্গে বসে বসে সুর করা শুরু করলাম।
রাশেদ মেহেদী: তাহলে আপনার সুর করা প্রথম গান কোনটি ছিল?
শেখ সাদী খান: এটা একটা আজব ব্যাপার, মানুষ শুনলে হয়তো হাসবে। আমি তখন সারাক্ষণ গুনগুন করতাম। বন্ধুদের বললাম, তোমরা সুর করো, আমার মনের ভেতরেও সুর ঘোরে, সুর করতে ইচ্ছে করে। আমায় গান দেবে কে? গান কার কাছে চাইব আমি? তখন চট্টগ্রামের মোহনলাল দাশ গান লিখেন। আরেকজন ছিলেন জিয়া হায়দার, ওনার কাছে যেতেই পারতাম না।
যা হোক, আমি যখন ঢাকায় আসলাম তখন আমার ভাইয়ের বিছানা উঠিয়ে দেখলাম অনেক কাগজপত্র। কাগজপত্র উল্টিয়ে দেখি ওখানে কয়েকটা গান আছে। গানটা হলো ‘সে তো চাঁদ নয়, চাঁদের মতো সুন্দর কেন মনে হয়।’ নিচে লেখা গীতিকার ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। এ গানের সুর যে আমার ভাই করছে জানতাম না। এটার মধ্যে প্র্যাকটিস করলাম, সুর করলাম। সুর করে আমার বন্ধুকে শোনালাম যে, ‘চাঁদ নয়, সে তো চাঁদ নয়... তবুও চাঁদের মতো এত সুন্দর কেন মনে হয়...। বন্ধুরা বলল, তো ভালো সুর করলে তো তুমি। কোত্থেকে সুর পাইলি তুই? তারা এসব বলে আমাকে অনুপ্রাণিত করল। এবার সুর করার দিকে আমার মন তাড়া শুরু করল। তখন আমার ভাবি ফৌজিয়া ইয়াসমিন খান গান গাইতেন, যিনি সাবিনা ইয়াসমিনের মেজ বোন। ভাবি রেডিওতে শিডিউল অনুষ্ঠান করেন, ওনার তো তার গান লাগেই। আমি তখন হারমুনিয়ামে সুর করছিলাম। ভাবি বলল- কি করছ? আমি বললাম, সুর করতেছি। বললেন- তুমি সুর করতে পার নাকি? আমি বললাম- করি তো হয় কি না জানি না। ভাবি বললেন, ভালো তো। আমার জন্য ভালো হয়েছে। আমি শিডিউল প্রোগ্রামে গাইতে পারব। ভাবি অনুপ্রাণিত করলেন আমাকে।
তারপর যেহেতু রেডিওতে ভাই-ব্রাদাররা চাকরি করেন, তারা জানে যে পাগলা এসবই করবে, আর কি করবে। এসএসসি পাসও করলাম ভাবি আমাকে তাগাদা দিল। তখন আমি ধীরে ধীরে গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে পেয়ে গেছি। গান চাইলে তিনি আমাকে গান দিতেন। করে করে এভাবে সাবিনার প্রোগ্রাম পেয়ে গেলাম। তখন ১৯৬৯ সাল। সুরকার হিসেবে একটা অ্যালবাম বেরিয়ে গেল। তখন আমার ভেতরে কত বড় সুরকার হব আমি। তারপর সাবিনার একটা প্রোগ্রাম করলাম। এভাবে করে শুরু।
(চলবে)
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে