হুমায়ুন আজাদের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
বাংলাদেশের অন্যতম প্রথাবিরোধী ও বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদ। গতানুগতিক চিন্তাধারাকে সচেতনভাবে এড়িয়ে বাংলা সাহিত্যে তিনি ছিলেন এক দিকপাল, অনন্য মননশীল ও প্রথাভাঙার রূপকার। আজ ১২ আগস্ট এই বিখ্যাত লেখকের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী।
হুমায়ুন আজাদ মূলত ভাষা নিয়ে কাজ করেছেন। তার শিশুতোষ গ্রন্থগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিশোর সাহিত্য ও উপন্যাসের ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন সফল। ভাষাবিজ্ঞানী ও গদ্যের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত হলেও তিনি আমৃত্যু কাব্যচর্চা করে গেছেন।
আশির দশকের শেষভাগ থেকে সমসাময়িক ও রাজনৈতিক বিষয়ে গণমাধ্যমে লেখালেখি ও বক্তব্য দিতে শুরু করেন হুমায়ুন আজাদ। সাপ্তাহিক ‘খবরের কাগজ’ পত্রিকায় সামরিক শাসনের বিরোধিতা করে তার রাজনৈতিক লেখালেখির সূত্রপাত হয়। তার লেখায় ধর্ম, মৌলবাদ, প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা, যৌনতা, নারীবাদ ও রাজনীতি গুরুত্ব পেয়েছে, যা পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।
তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ১৯৮৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ২০১২ সালে সামগ্রিক সাহিত্যকর্ম ও ভাষাবিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য মরণোত্তর একুশে পদক লাভ করেন।
১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল বিক্রমপুরের কামারগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ুন আজাদ। তার নাম ছিল হুমায়ুন কবীর, যা ১৯৮৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পরিবর্তন করে হুমায়ুন আজাদ রাখেন। তার বাবার নাম আবদুর রাশেদ এবং মায়ের নাম জোবেদা খাতুন।
‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ উপন্যাসে মৌলবাদীদের সমালোচনা করায় তিনি একটি গোষ্ঠীর তীব্র আক্রোশের মুখে পড়েন। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসী তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন। এরপর ওই বছরের ৭ আগস্ট গবেষণা বৃত্তি নিয়ে তিনি জার্মানি যান। এর পাঁচ দিন পর ১২ আগস্ট মিউনিখের নিজ ফ্ল্যাটে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে