হুমায়ূন আহমেদের ৭৭তম জন্মদিন আজ
আজ ১৩ নভেম্বর, নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মদিন। নানা আয়োজনে উদযাপিত হবে দিনটি। ২০১২ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান হুমায়ূন আহমেদ। মুগ্ধ পাঠকের হৃদয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন তার রচনাবলিতে।
১৯৪৮ সালের এই দিনে নেত্রকোনার কেন্দুয়ার কুতুবপুরে হুমায়ূন আহমেদের জন্ম। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজ। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তার এক ভাই কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। অন্য ভাই আহসান হাবীব কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক।
হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে নানা কর্মসূচি পালিত হবে আজ বৃহস্পতিবার। এর অংশ হিসেবে রাত ১২টা ১ মিনিটে নুহাশপল্লী জুড়ে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। এছাড়া সকালে নুহাশপল্লীতে কেক কাটা এবং তার কবর জিয়ারত করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, ছেলে নিশাত ও নিনিতসহ নুহাশপল্লীর কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং হুমায়ন ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল।
হুমায়ূন আহমেদ তার দীর্ঘ চার দশকের সাহিত্যজীবনে উপহার দিয়েছেন সাড়া জাগানো সব উপন্যাস। হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা তিন শতাধিক। তার লেখা অন্যতম উপন্যাসগুলো হলো- নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া ও বাদশা নামদার ইত্যাদি। তার লেখা উপন্যাসের জনপ্রিয় চারটি চরিত্র হলো হিমু, রুপা, মিসির আলি ও শুভ্র। এছাড়া মির্জা, মিয়ার বেটা, বদি, বাকের ভাই ইত্যাদি তার সৃষ্ট অনবদ্য স্মরণীয় চরিত্র। তার লেখা উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো- এইসব দিনরাত্রি, অয়োময়, কোথাও কেউ নেই, নক্ষত্রের রাত, আজ রবিবার ইত্যাদি।
বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। তার মধ্যে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, হুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন দত্ত পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও বাচসাস পুরস্কার উল্লেখযোগ্য।
হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে আগুনের পরশমণি, দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন, শ্যামল ছায়া, চন্দ্রকথা ও ঘেটুপুত্র কমলা ইত্যাদি। শ্রাবণ মেঘের দিন, আগুনের পরশমণি, শ্যামল ছায়া। সর্বশেষ ঘেটুপুত্র কমলা চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।
২০১২ সালের ১৯ জুলাই নির্মাণের মহান এই কারিগর নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে তাকে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে নিজ হাতে গড়া নুহাশপল্লীর লিচুতলায় সমাহিত করা হয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে