তেহরানে কেমন আছেন বাংলাদেশিরা

ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থানরত প্রায় ৪০০ বাংলাদেশির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সারাদেশ।

মঙ্গলবার ইরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনীতিকসহ দূতাবাসের ৪০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হলেও বাকিদের বিষয়ে একধরণের উৎকন্ঠা তৈরি হয়েছে। তবে বুধবার জানা গেল, ইরানের রাজধানী শহরটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা এখন পর্যন্ত নিরাপদেই আছেন এবং এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগের সিনিয়র সাংবাদিক ও উপস্থাপক গাজী আবদুর রশীদ এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন,
এই মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে তেহরানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে এবং এতে সবাই উদ্বিগ্ন। গাজী আবদুর রশীদ বলেন, তেহরানের যুদ্ধ পরিস্থিতিকে ভালো বলা যাবে না।

গতকাল (মঙ্গলবার) রাত থেকে শহরটি কার্যত একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছিল চারপাশ। ইরান প্রতিরোধের চেষ্টা চালালেও বিস্ফোরণ ঘটেছে বিভিন্ন এলাকায়।

তিনি আরও জানান, তেহরানের মানুষ এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। নেতানিয়াহু ও ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি হুমকি দিয়েছে তেহরান ছেড়ে যাওয়ার জন্য। গত রাতে শহরের ১৮ নম্বর জেলার ওপর হামলার সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল। অনেকেই শহর ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যাচ্ছেন। রাস্তাঘাট ফাঁকা, যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ।

গাজী আবদুর রশীদ বলেন, তেহরানে এখন গুমোট ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যারা শহরে আছেন, তারাও প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তবে ইরান যথাসম্ভব পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইসরায়েলের হামলার। ইরান প্রতিরক্ষা বাহিনী বেশিরভাগ হামলা প্রতিরোধে সক্ষম হয়েছে বলেই দাবি করছে। তবু কিছু ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তেল আবিবের আকাশে এখন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ছুটছে, দুই দেশ পাল্টাপাল্টি হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যেই তেহরানবাসীর জীবনে নেমে এসেছে এক ভয়াবহ উৎকণ্ঠা।

বাংলাদেশ সরকার এবং দূতাবাসের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নাগরিক হতাহত হয়নি বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলেও জানা গেছে। তবে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হলে নতুন করে উদ্বেগ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।