চট্টগ্রাম বন্দরে এনসিটি পরিচালনা নিয়ে হাইকোর্টে বিভক্ত রায়

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল বা এনসিটির ব্যবস্থাপনা বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে বিভক্ত রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

তবে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফাতেমা নজীব প্রক্রিয়া অবৈধ ঘোষণা করলেও বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ার রুল খারিজ করে বৈধতা দেন। ফলে বিষয়টি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি নিষ্পত্তির জন্য তৃতীয় বেঞ্চে পাঠাবেন। এর আগে ২৫ নভেম্বর শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৪ ডিসেম্বর দিন রেখেছিলেন হাইকোর্ট।

পরে রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, ‌‘হাইকোর্টে বিভক্ত রায়ের পর এই অবস্থায় কাজ চালিয়ে যাওয়া নৈতিক হবে বলে আমি মনে করি না। যেহেতু জ্যেষ্ঠ বিচারক রুল অ্যাবসোলিউট করেছেন, সেহেতু থার্ড বেঞ্চের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করা প্রয়োজন।’

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল শুনানিতে অংশ নেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল বা এনসিটির ব্যবস্থাপনা বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে যুব অর্থনীতি ফোরামের সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হাসান রিট করেন। ওই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ৩০ জুলাই হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

রুলে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ আইন লঙ্ঘন করে দেশীয় অপারেটরদের অনুমতি না দিয়ে চট্টগ্রাম নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় বিদেশির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। একইসঙ্গে যে কোনো অপারেটরকে কন্টেইনার টার্মিনাল হ্যান্ডলিং পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার আগে আইন অনুসারে ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বানের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না সে মর্মেও রুল জারি করা হয়। ওই রুলের শুনানি শেষে ৪ ডিসেম্বর রায়ের জন্য দিন রাখা হয়।