জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর আপাতত পরিকল্পনা নেই - জ্বালানি উপদেষ্টা
মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাতের প্রভাব বিবেচনায় রেখে জ্বালানি পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে জ্বালানি সরবরাহ কিছুটা ব্যাহত হতে পারে, তবে স্বল্পমেয়াদে জ্বালানির পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিদ্যুৎ ভবনে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু দেশের ভোক্তা পর্যায়ে এখনই আপাতত দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মুনাফা থেকেই দাম স্থিতিশীল রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার জ্বালানি খাতে অতিরিক্ত ভর্তুকি দেবে না এবং বিদ্যমান ভর্তুকির পরিমাণও বাড়ানো হবে না। বরং আমদানিতে সাশ্রয় ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ব্যয় কমানো হচ্ছে। “গত সপ্তাহেই একটি দরপত্রে ২১ কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে,” বলেন তিনি।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, জ্বালানি নিরাপত্তা ও খরচ নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে খাতে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড এবং লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসি-এর মধ্যে একটি গ্যাস বিক্রয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, জালালাবাদ গ্যাস আগামী ১০ বছর লাফার্জহোলসিমকে দৈনিক ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস সরবরাহ করবে। এই সরবরাহ কার্যকর হবে ২০২৬ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে।
চুক্তিতে লাফার্জহোলসিমের পক্ষে সিইও মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী এবং জালালাবাদ গ্যাসের পক্ষে কোম্পানি সচিব জিতেন্দ্র কুমার দাস স্বাক্ষর করেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে