গোপালগঞ্জ বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪৫ জন গ্রেপ্তার
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার (১৮ জুলাই) গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান এ তথ্য জানান। এ নিয়ে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫ জনে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সন্দেহভাজনদের আটক করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় সোপর্দ করেছেন।
কারফিউ জারির কারণে রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসিন্দাদের ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ এবং যানবাহন চলাচলও অত্যন্ত সীমিত।
জেলা জুড়ে সেনাবাহিনী ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সহ বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী টহল জোরদার করেছে।
বুধবার এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৫০ জনের বেশি আহত হন। যাদের মধ্যে পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। ওই রাতেই সোহেল মোল্লা, দীপ্ত সাহা, ইমন তালুকদার ও রমজান কাজী নিহত হন। শুক্রবার আরও একজন—২৮ বছর বয়সী রমজান মুনশি নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন প্রথমে সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে এবং পরে বুধবার রাত ৮টা থেকে ২২ ঘণ্টার কারফিউ ঘোষণা করা হয়। এরপর সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ বর্ধিত করে, তবে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত কারফিউ কার্যকর ছিল এবং তা শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে আবারও শুরু হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।
এছাড়া সংঘর্ষ ও ক্ষয়ক্ষতির তদন্তে সরকার তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে