শ্রম আইন সংশোধনসহ পোশাক শ্রমিক সংহতির ১১ দাবি
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন এবং শ্রম আইনের সংশোধনসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক সংহতি।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক মতবিনিময় সভায় এ দাবিগুলো তুলে ধরে সংগঠনটি। সভার বিষয়বস্তু ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের ১ বছর: ১১ দফা শ্রমিক আকাঙ্ক্ষা ও প্রাপ্তি।
সভায় বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আক্তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে পোশাক খাতে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নস্যাতকারীদের নানা তৎপরতা ছিল।
তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায় ঝুট ব্যবসায়ী এবং গণঅভ্যুত্থানবিরোধী শক্তিদের অপতৎপরতায় কারখানায় কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হয়, অভ্যুত্থানের অর্জন নস্যাতের চেষ্টা চলে। ফ্যাসিবাদী শাসকদের অংশ মালিকদের নিজেদের কারখানা বন্ধ রাখা, পালিয়ে যাওয়া বা গ্রেপ্তার হওয়ার মতো ঘটনাও এই খাতে প্রভাব বিস্তার করে।
তাসলিমা আক্তার বলেন, এতসব প্রতিকূলতার মধ্যেও শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন চলে যার প্রতিফলন ঘটে ১৮ দফা আদায়ে। শ্রমিক এলাকায় কর্মপরিবেশ ফিরে আসতে থাকে। যদিও এখনও ১৮ দফার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি। ৬ মাসের মধ্যে উদ্যোগ নেয়া হবে বললেও শ্রম আইন সংশোধন, মজুরি মূল্যায়ন, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও রেশনের মতো জরুরি দাবি অপূর্ণ রয়েছে।
দাবিগুলো হলো:
১. নির্বাচন তফসিলের পূর্বে শ্রম আইন সংশোধন ও সংস্কার।
২. শহীদ তালিকা ও বিচারের অধিকার নিশ্চিত করা।
৩. মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
৪. ১৮ দফার পূর্ণ বাস্তবায়ন।
৫. অন্যায্য টার্মিনেশন, ব্লাক লিস্টিং বন্ধ ও পাওনা পরিশোধ।
৬. যৌন হয়রানি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও তুই-তুমি সম্বোধন বন্ধ।
৭. মাতৃত্বকালীন ৬ মাস ছুটি, মহিলার পরিবর্তে নারী ও ৩৩২ ধারা পরিবর্তন।
৮. তথ্য প্রাপ্তির অধিকার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
৯. শ্রমজীবীর ইতিহাস সুরক্ষা ও জাদুঘর স্থাপন।
১০. হয়রানিমূলক মামলা ও পুলিশের প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার বিষয় সতর্কতা।
১১. শ্রম আদালত- পরিদর্শক বৃদ্ধি ও বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা স্বচ্ছ করা।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে