আসন্ন নির্বাচন আয়োজনে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সোমবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট, বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান চলাচল, অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম সংস্কার এবং দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। নির্বাচনের আগে শান্তি বিঘ্নিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।’

এ সময় বাংলাদেশে এক বছরের দায়িত্বপূর্ণ মেয়াদ শেষে দেশে ফেরার প্রাক্কালে ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং ফেব্রুয়ারির নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম সংস্কারকে বিশেষভাবে প্রশংসা করে নতুন শ্রম আইনকে ‘অসাধারণ ও ব্যতিক্রমধর্মী’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এসব সংস্কার বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক হবে। তিনি আগের সরকারের সময় শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে করা ৪৬টি মামলার মধ্যে ৪৫টি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তেরও প্রশংসা করেন।

জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নতুন শ্রম অধ্যাদেশ ‘একটি উৎকৃষ্ট আইন’। দেশের শীর্ষ শ্রমিক নেতারা এ সংস্কারকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশন সমর্থনেও ইতিবাচক মনোভাব দেখানো হচ্ছে।

সাক্ষাতে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তার অর্থায়ন নিয়েও আলোচনা হয়। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আশ্রয়শিবিরে এক মিলিয়নের বেশি রোহিঙ্গার জন্য জীবনরক্ষাকারী সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে সবচেয়ে বড় দাতা এবং ভবিষ্যতেও সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

বিদায়ী সাক্ষাতে অধ্যাপক ইউনূস ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে এক বছরের দায়িত্বকালে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং তাঁকে বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে ভবিষ্যতে আবার সফরের আমন্ত্রণ জানান।

সাক্ষাতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।