কবিতা যাতে হারিয়ে না যায়, সেই ভাবনা থেকে মলাটে আবদ্ধ করেছি
কবি নাদিম মাহমুদের কবিতা লেখা শুরু স্কুলজীবন থেকে। এবারের বইমেলায় জাগতিক প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত হয়েছে এই তরুণ কবির তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘নীল পাঁজর পুঁতেছি সরু গলিতে’। তার কবিতা ভাবনা, লেখালেখি, বইমেলা ইত্যাদি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন ভিউজ বাংলাদেশের মাহফুজ সরদার।
ভিউজ বাংলাদেশ: এবারের বইমেলায় আপনার তৃতীয় কবিতাগ্রন্থ ‘নীল পাঁজর পুঁতেছি সরু গলিতে’ প্রকাশিত হয়েছে, কেমন সাড়া পাচ্ছেন? পরবর্তিতে আমরা আপনার কাছে থেকে কোন ধরনের লেখা পাব?
নাদিম মাহমুদ: ‘নীল পাঁজর পুঁতেছি সরু গলিতে’ তৃতীয় কবিতাগ্রন্থ অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ প্রকাশিত হয়েছে। আগের দুটি বইয়ের চেয়ে এ কবিতাগ্রন্থের কবিতাগুলো শক্তিশালী, কবি, বন্ধুমহল, পাঠক সমালোচকদের কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া পেয়েছি। যদি সময় অনুকূল হয়, আগামী বইমেলায় নতুন একটা বিষয় নিয়ে সবার সামনে হাজির হব, পাশাপাশি বলে রাখি, এই বিষয় নিয়ে এখনো কেউ কাজ করেনি বাংলাদেশে।
ভিউজ বাংলাদেশ: আপনি কবে থেকে প্রথম কবিতা লেখা শুরু করেছেন এবং কোথায় প্রথম কবিতা প্রকাশ পায়?
নাদিম মাহমুদ: কবিতা লেখা শুরু স্কুলজীবন থেকে, আমার শিক্ষক সায়েম আনিন্দর প্ররোচনায়। তিনি নিজেও একজন কবি। এরপর অনেক কবিতা লিখেছি আবার হারিয়ে ফেলেছি। আর যাতে কবিতা হারিয়ে না যায়, এ ভাবনা থেকে মলাটে আবদ্ধ করেছি। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, ছোট পত্রিকার বিশেষ সংখ্যায় আমার অনেক কবিতা স্থান পেয়েছে। প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় স্থানীয় একটি পত্রিকায়।
ভিউজ বাংলাদেশ: সমসাময়িক কবিদের মধ্যে কার কার কবিতা আপনার ভালো লাগে?
নাদিম মাহমুদ: সমসাময়িক কবিদের মধ্যে অনেকের কবিতা ভালো লাগে, টোকন ঠাকুর, সরকার মাসুদ, কামরুজ্জামান কামু, মাহবুব কবির, জুয়েল মাজহার, আলী আফজাল খান, মাসুদ খান, পিয়াস মজিদ, রিফাত চৌধুরী, এ ছাড়া আরও অনেকের কবিতা আমার ভালো লাগে।
ভিউজ বাংলাদেশ: বর্তমানে দুই বাংলার কবিতার মধ্যে কী ধরনের পার্থক্য দেখতে লক্ষ্য করছেন?
নাদিম মাহমুদ: দুই বাংলার কবিদের একটা চিন্তার ফারাক সব সময় লক্ষ্য করা যায়, যেহেতু কবিতায় সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক নানান পারিপার্শ্বিক বিষয়ের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে সেইসব অবস্থা থেকে কবিতার ভিন্নতা তো থাকবেই।
ভিউজ বাংলাদেশ: এই প্রজন্মের কবিদের কবিতা না কি দুর্বোধ্য এমন অভিযোগ আছে, এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?
নাদিম মাহমুদ: এই উত্তরটা আসলে কীভাবে দেই এর জন্য লম্বা উত্তর দিতে হয় তবুও সংক্ষেপে যা বলা যায় তাই বলছি। এই ধরনের কথা দুই ধরনের মানুষ বলে এক যারা কবিতা পড়ে না আর প্রথাবাদী মানুষের কাছে গেলে শোনা যায়। পৃথিবী পরিবর্তনশীল, পরিবর্তনের সঙ্গে অব্যস্ত হতে হবে। কবি জীবনানন্দ দাশ যদি নিজে কল্লোল যুগের অবসান ঘটিয়ে নতুন ধারা সৃষ্টি না করতেন, তাহলে হয়তো আমরা আধুনিক কবিতার স্বাদ বোধহয় এখনো পেতাম কি না আমরা জানি না।
ভিউজ বাংলাদেশ: এবারের বইমেলার আয়োজন নিয়ে মন্তব্য কী?
নাদিম মাহমুদ: বরাবরের মতো এবারও মেলা কর্তৃপক্ষ তাদের অব্যবস্থাপনার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। স্টল বিন্যাসের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত পর্যায়ে অদক্ষতা পরিলক্ষিত হয়েছে। আশা করছি, আগামী মেলায় ছোট স্টল এবং লিটলম্যাগের দিকে সজাগ দৃষ্টি দেবে।
ভিউজ বাংলাদেশ: আপনাকে ধন্যবাদ
নাদিম মাহমুদ: আপনাকেও ধন্যবান
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে