'বাবার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল, কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে'
সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের ছেলে ঋত সরকার জানিয়েছেন তার বাবার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মরদেহে কিছু আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।
তিনি বলেন, 'বাবার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল, কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটি আসলে কী কারণে হচ্ছে, আমরা বুঝতে চাই। যাঁরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ, তাঁদের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার হতে চাই।’
শুক্রবার রাত পৌনে নয়টায় মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে গিয়ে বিভুরঞ্জনের মরদেহ শনাক্ত করার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, 'তিনি প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিকভাবেই বৃহস্পতিবার সকালে খেয়ে, ইনসুলিন নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। যাওয়ার আগে মাকে বলে গিয়েছিলেন বিকেল পাঁচটা, সাড়ে পাঁটার দিকে বাড়িতে ফিরে আসবেন। বিকেল পাঁচটার পরে যখন বাবা ফিরে আসেননি, তখন আমরা তাঁর মুঠোফোনে ফোন করি। ফোনটা বন্ধ পাই। পরবর্তীতে আমরা রমনা থানায় জিডি করি।পরে বাবার ফোনটি বাড়িতে পাই।'
এদিকে, বিভুরঞ্জনের ছোট ভাই চিররঞ্জন সরকার বলেন, 'এটি আত্মহত্যা, না খুন, না পরিকল্পিত কোনো ঘটনা, আমরা জানি না। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তিনি কীভাবে মারা গেলেন, সেটি আমরা জানি না। আমি শুধু এই টুকুই বলব, এমন পরিণতি যেন আর কারও না হয়।’
বিভুরঞ্জন সরকারের পরিবারের কারও সঙ্গে কোনো মনোমালিন্য ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান এব্যাপারে তারা কিছু জানেন না। তারা বলেন, বিভুরঞ্জন স্বাভাবিকভাবে সব সময় শান্ত থাকতেন। বৃহস্পতিবার তাঁর মধ্যে ব্যতিক্রম কোনো কিছু লক্ষ করা যায়নি।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কর্মস্থলে যাওয়ার কথা বলে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বের হন ৭১ বছর বয়সী সাংবাদিক বিভুরঞ্জন। এর পর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
শুক্রবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে একজনের মরদেহ ভাসতে দেখে ৯৯৯–এ ফোন করে পুলিশকে জানান স্থানীয়রা। নৌ পুলিশের সদস্যরা গিয়ে বিকেল পৌনে চারটার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে