Views Bangladesh Logo

ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি, কেবিনে স্থানান্তর

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীনকে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে ইমাম জাফর নোমানী, যিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

তিনি জানান, “গত রাতেই মাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা এখন কিছুটা ভালো, তিনি কথা বলতে পারছেন। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যদি দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তাহলে অবস্থার আবার অবনতি হতে পারে। আমরা সবাইকে তার পূর্ণ সুস্থতার জন্য দোয়া করার অনুরোধ করছি।”

গত ৫ জুলাই গুরুতর শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন ফরিদা পারভীন। পরবর্তীতে তার কিডনির সমস্যা, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং রক্তজনিত সংক্রমণসহ একাধিক জটিলতা দেখা দেয়। অবস্থা গুরুতরতায় তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৯ জুলাই একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার চিকিৎসা তত্ত্বাবধান করা হয়।

ফরিদা পারভীনের বাসায় ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে নোমানী বলেন, “তিনি এখনও চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ছাড়পত্র কবে দেয়া হবে তা বলা যাচ্ছে না। তার অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকরা দুই-তিন দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।”

সংগীতশিল্পীর স্বামী প্রখ্যাত বাদ্যযন্ত্রী গাজী আবদুল হাকিম বলেন, “আমি গতকাল তাকে আইসিইউতে দেখতে গিয়ে তার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেছি। তার শারীরিক অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। গত রাতে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং আজ আবার তাকে দেখতে যাচ্ছি। আমরা সবাইকে তার জন্য দোয়া করার অনুরোধ করছি।”

বিশেষ করে লালন গীতির জন্য খ্যাতি অর্জন করেন ফরিদা পারভীন। বাংলাদেশের অন্যতম বিশিষ্ট এই কণ্ঠশিল্পী ১৯৬৮ সালে রাজশাহী রেডিওতে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুল সংগীত গেয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে দেশপ্রেমমূলক গান দিয়ে জাতীয় খ্যাতি পান এবং ১৯৮৭ সালে সংগীতে অবদানের জন্য একুশে পদক লাভ করেন তিনি।

এছাড়া ১৯৯৩ সালে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ২০০৮ সালে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ফুকুওকা এশিয়ান কালচার পুরস্কার পান ফরিদা পারভীন।


মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ