মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণসহ অভিভাবকদের ৮ দাবি

রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে নিহত ও আহতদের পরিবার ৮ দফা দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে আহতদের পুনর্বাসন এবং সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করা।

অন্য সাতটি দাবি হচ্ছে, নিহতদের পরিবারকে ৫ কোটি এবং আহতদের পরিবারকে ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া; আহতদের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত ও হেলথ কার্ড প্রদান; ২১ জুলাইকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শোক দিবস হিসেবে পালন; নিহতদের কবর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ; নিহত পাইলট, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্টাফদের শহীদী মর্যাদা (সনদ ও গেজেটসহ) প্রদান; নিহতদের স্মরণে উত্তরায় একটি আধুনিক মসজিদ নির্মাণ এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনে নিহত নাজিয়া ও নাফির বাবা আশরাফুল ইসলাম এসব দাবি তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত তাসনিয়া হকের বাবা নাজমুল হক বলেন, ২১ জুলাই দেশের ইতিহাসে শোকাবহ দিন। দুপুর ১টা ১২ মিনিটে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাসে হায়দার আলী ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে মুহূর্তে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্টাফদের প্রাণহানি ঘটে। অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা পুরো জাতি এবং বিশ্বকে স্তম্ভিত করেছে।

তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত পাইলটসহ ৩৭ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ২৮ জন শিক্ষার্থী, ৩ জন অভিভাবক, ৩ জন শিক্ষক এবং স্কুলের স্টাফ মাসুমা বেগম। হাসপাতালে এখনো ৯ জন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন, আর যারা ফিরে এসেছেন তারা নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। আহতদের দীর্ঘ চিকিৎসা, ফিজিওথেরাপি ও অন্যান্য ব্যয় অতুলনীয়। অনেকের অবস্থা এতটাই গুরুতর যে তারা হয়তো আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন না। স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাড়া এখন আর কেউ পাশে নেই।

নাজমুল হক বলেন, ‘আমাদের সন্তানরা স্কুলে ছিল, অথচ সরকারের যুদ্ধবিমান স্কুলে এসে বিধ্বস্ত হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও এমন ঘটনা ঘটেনি। তাই এর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। আমরা চাই, দুর্ঘটনার সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো হোক।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আহত রায়ান তৌফিকের বাবা সুমন, নিহত সামিউলের বাবা রেজাউল করিম শামীম ও আহত সানজিদা বেলায়েতের মা জায়ানা মাহবুব।