Views Bangladesh Logo

জামালপুরের মাদারগঞ্জে মিললো প্রাকৃতিক গ্যাস, উপজেলাজুড়ে উচ্ছ্বাস

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম তরতাপাড়ায় প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। দেশে গ্যাসের চলমান তীব্র সংকটে এমন সুখবরে বইছে আনন্দের জোয়ার, উচ্ছ্বসিত উপজেলাবাসী।

বাপেক্স আশাবাদী, প্রত্যাশিত ৪০০ বিসিএফ গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেলে কূপটি থেকে দিনে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন ও জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ সম্ভব হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা হতে পারে।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিজেদের গ্রামে গ্যাসের খোঁজ মেলায় আনন্দে ভাসছেন তরতাপাড়াবাসী। বলছেন, জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি এ অঞ্চলে কর্মসংস্থানের নতুন দরজাও খুলবে প্রকল্পটি।

জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপখনন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক জানান, এখন পর্যন্ত কূপটির দুই হাজার ৬০০ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা হয়েছে। এর এক হাজার ৪৪১ থেকে এক হাজার ৪৪৫ মিটার স্তর থেকে ৭.২ মিলিয়ন পিএসআই চাপে গ্যাস নির্গত হচ্ছে। ওই স্তরের ওপরের স্তরেও গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় গ্যাসের মজুত সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যাবে। একইসঙ্গে তেল বা অন্য কোনো খনিজ পদার্থের উপস্থিতিও পরীক্ষা করে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

বাপেক্স জানায়, তরতাপাড়ায় গ্যাস থাকার সম্ভাবনা প্রথম ধরা পড়ে ১৯৮০ সালের সিসমিক জরিপে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ফের সিসমিক ডেটা সংগ্রহ এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ক্লোজ-গ্রিড সিসমিক সার্ভে করা হয়। সেই তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপখনন শুরু করে বাপেক্স।

প্রকল্প পরিচালক মোজাম্মেল হক জানান, নানা প্রযুক্তিগত জটিলতা ও বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় সময় লাগে। সঠিক বিশ্লেষণ শেষে জানা যাবে গ্যাসের মজুদ ও উত্তোলনের প্রকৃত সম্ভাবনা।

তিন মাস মেয়াদি এ অনুসন্ধান প্রকল্পের বাজেট ধরা হয়েছিলো ১৬৮ কোটি টাকা। পরিকল্পনা অনুসারে তিন হাজার মিটার পর্যন্ত খনন করা হবে।

বাপেক্স আশা করছে, তরতাপাড়ায় পুরোপুরি সফলতা মিললে যমুনা নদীর অন্যপাড়েও গ্যাস অনুসন্ধানের সুযোগ তৈরি হবে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ