Views Bangladesh Logo

ইইউর ‘নিরাপদ দেশ’র তালিকায় বাংলাদেশ

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

শ্রয় আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত করতে সাতটি দেশকে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও কসোভো, কলম্বিয়া, মিশর, ভারত, মরক্কো এবং তিউনিসিয়া রয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এই দেশগুলোর নাগরিকদের আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়া ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় তা তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র মার্কুস ল্যামার্ট জানান, এটি একটি ‘ডাইনামিক তালিকা’, যেটি নিয়ে পর্যালোচনা বা তালিকার আকার বাড়ানো যেতে পারে। কোনো দেশকে তালিকা থেকে বাদ দেয়াও যেতে পারে যদি সেটি আর নিরাপদ না থাকে।

২০১৫-১৬ সালে ইউরোপে অনিয়মিত অভিবাসনের ঢল শুরু হওয়ার পর থেকেই আশ্রয় নীতিতে সংস্কারের চেষ্টা করে আসছে ইইউ। যদিও গত বছর একটি নতুন অভিবাসন ও আশ্রয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, তা কার্যকর হবে ২০২৬ সালের জুনে। তার আগেই আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য দুইটি মূল নিয়ম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ইউরোপীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যাদের দেশত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়, তাদের মধ্যে ২০ শতাংশেরও কম ফিরে যায়। তাই গত বছর কমিশনকে অভিবাসীদের দ্রুত প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেন ইইউ নেতারা।

নতুন পরিকল্পনায়, নিরাপদ দেশ বা যেসব দেশ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন আবেদনকারীর মধ্যে একজনকে সুরক্ষা দেয়া হয়, সেখান থেকে আগত লোকদের আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।

ইইউ’ সদস্যভুক্ত দেশগুলোকেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিরাপদ ধরা হবে। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের মতো কিছু দেশের জন্য ব্যতিক্রম হতে পারে।

এদিকে এই তালিকাকে স্বাগত জানিয়েছে ইতালির ডানপন্থী সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি বলেন, বাংলাদেশ, মিশর এবং তিউনিসিয়াকে তালিকাভুক্ত করা রোমের জন্য সাফল্য।

তবে ইতালির বিচারকরা মিশর ও বাংলাদেশি অভিবাসীদেরকে আলবেনিয়ার আটক কেন্দ্রে পাঠানোর পরিকল্পনা বাতিল করেছেন। কারণ রোমের সরকার তাদের দেশকে নিরাপদ বলে মনে করলেও ইউরোপীয় আদালত বলেছে, এসব দেশের সব অঞ্চল ও সংখ্যালঘু নিরাপদ নয়।

নতুন প্রস্তাব এখন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও সদস্যভুক্ত দেশগুলোর অনুমোদনের প্রয়োজন। তবে মানবাধিকার সংগঠন ইউরোমেড রাইটস এই তালিকাকে ‘বিভ্রান্তিকর ও বিপজ্জনক’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, তালিকাভুক্ত দেশগুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অভিবাসীদের জন্য সীমিত সুরক্ষার নজির রয়েছে।

কমিশনের মুখপাত্র মার্কুস ল্যামার্ট বলেন, “আমরা মৌলিক ও মানবাধিকারে কাটছাঁট করছি না। ইইউ আইন অনুযায়ী সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে প্রতিটি আশ্রয় আবেদনের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ