Views Bangladesh Logo

ঈদযাত্রায় যান সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়ায় চরম ভোগান্তি

দে বাড়ি ফিরতে সাভার-আশুলিয়ার পোশাক শ্রমিকদের ভোগান্তি কাটছেই না। ঢাকা-আরিচা ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট তুলনামূলক কম থাকলেও তীব্র পরিবহন সংকটে বিলম্বিত হচ্ছে ঈদযাত্রা।

দীর্ঘ সময় ধরে মহাসড়কের পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরও বাসের দেখা মিলছে না। যে দু-একটি বাস মিলছে, সেগুলোতেও অতিরিক্ত ভাড়া ও সিট না থাকায় শ্রমিকদের ক্ষোভ বেড়েই চলেছে।

তারা বলছেন, গত ঈদে ধাপে ধাপে ছুটি ছিল। তখন এমন ভোগান্তি হয়নি। এবার সব কারখানার একসঙ্গে ছুটি দেয়ায় পরিবহনের ওপর চাপ পড়েছে'।

শুক্রবার (৬ জুন) ভোর থেকে সাভারের নবীনগর, বাইপাইল ও শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, বাস কাউন্টার ও মহাসড়কের পাশে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়। তাদের চোখে-মুখে বাড়ি ফেরা নিয়ে উদ্বেগ আর হতাশার ছাপ। সাথে নারী , শিশু ও বৃদ্ধসহ অসুস্থ রোগীরাই বেশি দুর্ভোগে পড়ছেন। ট্রাক কিংবা পিক-আপেও বসার জায়গা পাচ্ছেন না অনেকে।

বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে পোশাক শ্রমিক আফজাল হোসেন (৩৮) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'সকাল সাতটা থেকে বসে আছি। সাড়ে চার ঘণ্টায়ও রংপুরের বাস ধরতে পারিনি। যে কয়টা বাস আসছে, সেগুলোতে এতো ভিড় যে দাঁড়ানোরও জায়গা নেই। আর ভাড়া চাইছে দ্বিগুণ, তবু দাঁড়িয়ে যেতে হবে'।

পাবনাগামী পোশাক শ্রমিক ফাতেমা বেগম (৩২) বলেন, 'সকাল নয়টা থেকে অপেক্ষা করছি। বাচ্চাটা ক্ষুধায় কাঁদছে। বাস পাচ্ছি না। আর যে দুই-একটা বাস আসছে, সেগুলো এতো ভাড়া চাচ্ছে যে, আমাদের মতো গরীব মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়'।

আলহামারা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার জিল্লুর রহমান জানান, 'যাত্রীর চাপ অনেক বেশি। কিন্তু সে তুলনায় গাড়ি কম। অনেক গাড়ি ঈদের রিজার্ভে চলে গেছে। আবার অনেকে বাস ঢাকা ফেরত আসতে পারেনি। যাত্রীদের দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে দিতে আমরাও চেষ্টা করছি। কিন্তু গাড়ির অভাবে হিমশিম খাচ্ছি'।

সাভার হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমেদ বলেন, 'আমরা মহাসড়কে যানজট নিরসনে সার্বক্ষণিক কাজ করছি। তবে গণপরিবহন সংকটের সমাধান করা আমাদের এখতিয়ারের বাইরে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও আমাদের টহল জোরদার করা হয়েছে'।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ