দাম বাড়ানোর পরদিনই ভোজ্যতেলে বাজার সয়লাব
দাম বাড়ানোর একদিন না যেতেই সয়াবিন ও পাম তেলে বাজার সয়লাব হয়েছে। তবে বর্ধিত দামে খুশি হতে পারেননি ক্রেতারা। তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারকে জিম্মি করে দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি। তাই গুটিকয়েক কোম্পানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে আমদানিকারকের সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দেন তারা।
এর আগে ২০২২ সালে দেশের ইতিহাসে এক দফায় সর্বোচ্চ ৩৮ টাকা বেড়ে ১৯৮ টাকায় উঠেছিল সয়াবিন তেলের দাম।
বেশ কয়েকমাসের নৈরাজ্য ও সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের দর কষাকষির পর গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা বাড়ানো হয়। ওইদিন বাণিজ্য উপদেষ্টার যুক্তি ছিল, করছাড়ের কারণে অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারায় সরকার। বর্তমান বাস্তবতায় যা অব্যাহত রাখা কঠিন। একইসঙ্গে বিশ্ববাজারের দোহাইও দেন তিনি।
অথচ গত ডিসেম্বরে করছাড়ের পরেও লিটারে আট টাকা বাড়ানো হয়েছিল তেলের দাম। যার সুফল ব্যবসায়ীরা নিলেও বঞ্চিত ছিলেন ক্রেতারা।
বিশ্ববাজারের অজুহাত দেখানো হলেও জানুয়ারির তুলনায় প্রতিটনে ৪৫ ডলার কমে মার্চে সয়াবিন তেলের দাম নেমে এসেছে এক হাজার ডলারে। আর সবশেষ তিন মাসের গড় এক হাজার ৪০ ডলার। যা গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় কমেছে অন্তত ১০ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুল্ক কিংবা বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধি- সবই ব্যবসায়ীদের খোঁড়া যুক্তি।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আমরা কিছু বড় ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি। সরকার এক্ষেত্রে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করছে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না।
এদিকে দাম বাড়ানোর পরিদনই বাজার সয়লাব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্যে। ক্রেতারা বলছেন, বাড়তি দামের প্রভাবে বাড়বে ব্যয়, তৈরি হবে বাড়তি চাপ।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে