প্রবাসী ভোটের নিবন্ধন প্রক্রিয়া ইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ডাকযোগে ব্যালট ব্যবহারের জন্য নতুন আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং প্রক্রিয়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইসির ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্তি ও ভোটদান প্রক্রিয়ার নমুনা প্রকাশ করা হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অনুমোদনের পর প্রক্রিয়াটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। এতে দুটি ধাপ নির্ধারণ করা হয়েছে—পোস্টাল ভোটিং তালিকাভুক্তি প্রক্রিয়া ও ভোটদান।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, প্রবাসীদের জন্য শিগগিরই ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ চালু হবে। গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করে ১১ ধাপে নিবন্ধন করা যাবে। এ প্রক্রিয়ায় ওটিপি যাচাই, মুখমণ্ডল শনাক্তকরণ, এনআইডি ও পাসপোর্ট যাচাই এবং বিদেশের ঠিকানা প্রদানের পর ডাকযোগে ব্যালট পাঠানো হবে।

ভোট পাওয়ার পর ৯ ধাপে ভোটদান সম্পন্ন করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে—মোবাইল নম্বর নিশ্চিতকরণ, ছবি তোলা, খামের কিউআর কোড স্ক্যান, প্রতীকের পাশে টিক বা ক্রস দেওয়া, ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর এবং রিটার্ন খামে ব্যালট রেখে ডাকঘরে জমা দেওয়া।

ইসি জানিয়েছে, ব্যালট পেপারে প্রার্থীর নাম থাকবে না, শুধু প্রতীক দেওয়া হবে। বড় খামের ভেতরে দুটি খাম থাকবে—একটি ব্যালটের জন্য, অন্যটি ফেরতের জন্য।

এ ছাড়া প্রবাসী ভোটাররা অ্যাপের মাধ্যমে ছয় ধাপে ভোটের অগ্রগতি ট্র্যাক করতে পারবেন—ব্যালট তৈরি, প্রেরণ, গ্রহণ, ফেরত প্রেরণ, বাংলাদেশে পৌঁছানো এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা।

ইসির নবনিযুক্ত জনসংযোগ পরিচালক রুহুল আমিন মল্লিক বলেন, প্রক্রিয়াটি অনুমোদনের পর গণমাধ্যমে জানানো হবে এবং তা ব্যাপকভাবে প্রচার করা হবে।

উল্লেখ্য, আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।