Views Bangladesh Logo

কারাবন্দীদের ভোটদান বিষয়ে ইসির নির্দেশনা জারি

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

সন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে কারাগারে আটক বা আইনগত হেফাজতে থাকা ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিতে নির্দেশনা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা বুধবার কারা মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়।

নির্দেশনা অনুযায়ী, কারাগারে আটক বা আইনগত হেফাজতে থাকা ভোটাররা নির্বাচন বিধিমালা অনুসারে ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং (আইসিপিভি) পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আটক ভোটারদের নিবন্ধন একটি বিশেষ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে সম্পন্ন করা হবে। এ জন্য কারা কর্তৃপক্ষ বা হেফাজতে থাকা কর্তৃপক্ষ নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দুইজন করে প্রতিনিধি মনোনয়ন দেবে।

নিবন্ধন শেষে কর্তৃপক্ষ সিল ও স্বাক্ষরযুক্ত একটি মুদ্রিত তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠাবে। একই সঙ্গে মনোনীত প্রতিনিধিরা নির্ধারিত পোর্টালে এক্সএলএস (xls) বা সিএসভি (csv) ফরম্যাটে প্রয়োজনীয় ভোটার তথ্য আপলোড করবেন। নিবন্ধিত ভোটাররা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ডাকযোগে ব্যালট খাম পাবেন।

নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত প্রতিটি খামে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য পৃথক দুটি ব্যালট পেপার, ভোটদান নির্দেশিকা, একটি ঘোষণা ফরম এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার ঠিকানাসংবলিত একটি রিটার্ন খাম থাকবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সুষ্ঠু ভোটদানের পরিবেশ নিশ্চিত করতে কারা কর্তৃপক্ষ বা হেফাজতে থাকা কর্তৃপক্ষকে ভোটকেন্দ্র বা গোপন ভোটদানের স্থান প্রস্তুত করতে হবে। ডাকযোগে পাঠানো ব্যালট পেপারে প্রার্থীদের নাম থাকবে না; কেবল নির্ধারিত প্রতীক থাকবে এবং তার পাশে ফাঁকা জায়গা থাকবে। সে কারণে সংশ্লিষ্ট আসনের প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা ও প্রতীক ভোটারদের কাছে সরবরাহ করবে কর্তৃপক্ষ।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালটে ভোটাররা পছন্দের প্রতীকের পাশে ফাঁকা জায়গায় টিক (✓) বা ক্রস (✗) চিহ্ন দেবেন। গণভোটের ব্যালটে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’-এর পাশে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিতে হবে। ভোট দেওয়ার আগে ভোটারকে ঘোষণা ফরমে নিজের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর লিখে স্বাক্ষর করতে হবে। কোনো ভোটার স্বাক্ষর দিতে অক্ষম হলে, অন্য একজন ভোটার তার পক্ষে সাক্ষ্য দেবেন।

ভোট প্রদান শেষে ভোটার দুটি ব্যালট পেপার একটি ছোট খামে রেখে তা সিল করবেন। এরপর সিল করা খাম ও স্বাক্ষরিত ঘোষণা ফরম নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত হলুদ রঙের রিটার্ন খামের ভেতরে রেখে রিটার্নিং কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে পাঠাতে হবে এবং কারা কর্তৃপক্ষ বা হেফাজতে থাকা কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত স্থানে বা বাক্সে জমা দিতে হবে।

ভোটদান কার্যক্রম শেষ হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সব ডাকভোটের খাম নিরাপদে সংরক্ষণ করবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিকটবর্তী ডাকঘরে পাঠাবে। ডাক বিভাগ খামগুলো সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ডাক খরচ ভোটারকে বহন করতে হবে না; সব ব্যয় সরকার বহন করবে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ