সংসদ নির্বাচনে পোস্টার, ড্রোন ও বিদেশে প্রচারণা নিষিদ্ধ করল ইসি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের প্রচারে পোস্টার, ড্রোন এবং বিদেশে প্রচারণা নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে একজন প্রার্থীকে তার আসনে সর্বোচ্চ ২০টি বিলবোর্ড ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার ( ১০ নভেম্বর) আচরণবিধি গেজেট আকারে প্রকাশ করে ইসি এ নির্দেশনা দেয়।
নতুন আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রথমবারের মতো নির্বাচনী প্রচারে পোস্টার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রচারসামগ্রীতে পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে; পলিথিন, পিভিসি বা রেক্সিনজাত সামগ্রী ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া প্রচারের সময় শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলের বেশি না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসি জানায়, নির্বাচনের দিন ও প্রচারণা চলাকালে কোনো ধরনের ড্রোন, কোয়াডকপ্টার বা এ ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। বিদেশে জনসভা, পথসভা বা প্রচারণা করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমেও কঠোর বিধি আরোপ করা হয়েছে। প্রার্থী বা তার পক্ষে কেউ প্রচারণার জন্য ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স (টুইটার) বা অন্য কোনো মাধ্যম ব্যবহার করলে সেই অ্যাকাউন্টের নাম, আইডি ও যোগাযোগ তথ্য আগে থেকেই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে। নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ভুল তথ্য, ঘৃণাত্মক বক্তব্য বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেও সমপরিমাণ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। গুরুতর লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে তদন্তসাপেক্ষে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও পাবে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া, সব প্রার্থীকে একমঞ্চে ইশতেহার ঘোষণার সুযোগ এবং আচরণবিধি মেনে চলার অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে। নতুন বিধিমালায় প্রথমবারের মতো আইটি-সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যার আওতায় প্রবাসী ও বিশেষ কিছু শ্রেণির ভোটার ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন।
ইসি জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন ও আচরণবিধি জারির মাধ্যমে নির্বাচনী আইনের সব ধরনের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভোটার তালিকা আইন, পর্যবেক্ষক নীতিমালা, সাংবাদিক নীতিমালা ও ভোটকেন্দ্র নীতিমালার সংশোধন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে