দাড়িওয়ালা অসুরের মূর্তি তৈরিতে দায়ীরা চিহ্নিত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সদ্য সমাপ্ত দুর্গাপূজায় ‘ফ্যাসিস্ট ও তাদের সহযোগীরা অসুরের মূর্তিতে দাড়ি লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা উস্কে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিছু তথাকথিত ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবী এই কাজকে উৎসাহিত করেছিলেন’ বলে অভিযোগ তুলেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ‘কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। দেশজুড়ে আবারও শান্তিপূর্ণভাবে, নিরাপদে ও উৎসবমুখরতায় দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
রোববার (৫ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা কোর কমিটির বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ জড়িত বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছে এবং পুলিশের কাছে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
সেনাবাহিনী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, জনসাধারণ ও গণমাধ্যমকে উৎসবে শান্তি বজায় রাখতে ভূমিকা রাখায় ধন্যবাদ জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর পূজা কমিটি ও জাতীয় পূজা উদযাপন পরিষদ জানায়, এ বছর দেশজুড়ে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি দুর্গাপূজা মণ্ডপ স্থাপিত হয়। এর মধ্যে ৭৯৩টি দুর্গাপূজা মণ্ডপে ‘অসুরের মূর্তিতে দাড়ি লাগানোর খবর পাওয়া গেছে’ উল্লেখ করে একে ‘সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উস্কে দেয়ার প্রচেষ্টা’ বলে অভিযোগ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
ওই ঘটনাকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রমাণ থেকে বোঝা যায়, ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির’ মিত্ররা এতে জড়িত’।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা প্রতিবেদনের কথাও উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ অসুরের মূর্তি তৈরির অভিযোগ রয়েছে।
‘এখানে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানোর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ওই ঘটনাটি সম্পর্কিত বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সতর্কতা ও স্থানীয় পূজা কমিটিগুলোর সহযোগিতায় এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে’- বলেন তিনি।
ভারতের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘একজন বাংলাদেশি হিসেবে আপনার নিজেকেই জিজ্ঞাসা করা উচিত, এই ঘটনায় আসলে কে দায়ী’।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে