রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে ডাকসুর ভিপি প্রার্থীকে পুলিশে সোপর্দ
রুমমেটকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী জালাল আহমেদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত পৌনে ১টার দিকে মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর রুমে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। আহত রবিউল হক ২০১৮-১৯ সেশনের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
এ সময় আহত রবিউল আত্মরক্ষা করে বেরিয়ে আসলে অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
রবিউল হক বলেন, ‘জালাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুমে এসে লাইট অন করে এবং শব্দ করতে থাকে। ফলে আমার ঘুম ভেঙে যায়। তখন আমি বলি, সকালে আমাকে লাইব্রেরিতে যেতে হবে অযথা শব্দ করলে ঘুমে সমস্যা হচ্ছে। এতে সে রেগে গিয়ে আমাকে অবৈধ, বহিরাগত বলে। আমি প্রতিবাদ করলে আমছুরিকাঘাত করে জখম করে। পরে কোনোক্রমে আমি আত্মরক্ষা করি।’
অন্যদিকে, ঢাবির টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ তার ফেসবুকে নিজের আহত হওয়া ক্ষতচিহ্নের ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল থেকে অবৈধ ও বহিরাগত শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়ার দাবিতে উকিল নোটিশ পাঠানোর প্রাক্কালে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর কক্ষে আজ রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমাকে মেরেছে আমার রুমমেট রবিউল ইসলাম। সে গত কয়েক মাস ধরে অবৈধভাবে হলে অবস্থান করছে।’
এ ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা জালাল আহমেদের রুমের সামনে ভিড় করে তাকে বের হয়ে আসতে বললে তিনি রুমের ভেতরে নিজেকে আবদ্ধ রাখেন। পরে প্রক্টর এবং হল প্রভোস্টের সহায়তায় তাকে শাহবাগ থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ ঘটনায় জালাল আহমেদকে বহিষ্কার ও শাস্তির আওতায় আনতে এখনও (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তারা মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিও জানাচ্ছেন।
তবে প্রক্টর এবং প্রভোস্ট ইতোমধ্যেই জালাল আহমেদকে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের আশ্বাস দিয়েছেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে