Views Bangladesh Logo

ডাকসু নির্বাচন: অনিয়মের অভিযোগে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের সমালোচনা

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (ঢাবি শাখা)। সংগঠনটির দাবি, অভিযোগের বিষয়ে প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া বিভ্রান্তিকর ও অস্পষ্ট।

বিতর্কের সূত্রপাত হয় ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এক বিবৃতি প্রকাশের পর, যেখানে নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। ছাত্রদল ওই বিবৃতিকে 'ভিত্তিহীন ও অস্পষ্ট' আখ্যা দিয়ে শুক্রবার দপ্তর সম্পাদক মালিক ওয়াসি উদ্দিন তামির স্বাক্ষরিত এক পাল্টা বিবৃতি দেয়।

সে বিবৃতিতে ছাত্রদল অভিযোগ করে, প্রশাসন প্রার্থীদের আবেদনপত্র ও বিএনএসপি-সমর্থিত প্রার্থীদের উত্থাপিত ১১টি অভিযোগ যথাযথভাবে পর্যালোচনা না করেই বিবৃতি প্রকাশ করেছে।

ছাত্রদল জানায়, নির্বাচনের দিনের সম্পূর্ণ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ছাড়া ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ দূর করা সম্ভব নয়। তারা আরও উল্লেখ করে, প্রার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ব্যক্তিগতভাবে ফুটেজ দেখার অনুমতি চেয়েছিলেন। ডাকসু ও হল সংসদ নিয়ম অনুযায়ী তিন দিনের আবেদনকালীন সময়ে অভিযোগগুলোতে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য একাধিকবার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে বলেও দাবি করা হয়। পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে ১১টি নির্দিষ্ট অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরা হয়।

তবুও প্রশাসন অভিযোগগুলোকে 'ভিত্তিহীন ও অস্পষ্ট' বলে আখ্যা দেয়, যা ছাত্রদলের মতে অস্পষ্ট।

ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনার আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা আশা করি বিশেষজ্ঞরা তদন্ত পরিচালনা করবেন এবং যাচাইকৃত ফলাফল প্রকাশ করবেন, যাতে সব ধরনের সংশয় দূর হয়।

ছাত্রদল আরও অভিযোগ করে, ভোটার তালিকা কেন্দ্রের এজেন্টদের কাছে সরবরাহ করা হয়নি, ফলে প্রকৃত ভোটার উপস্থিতি যাচাই সম্ভব হয়নি। যদিও আইনগত জটিলতায় নির্বাচনী তথ্য প্রকাশ সীমিত ছিল, তবে ছাত্রদল দাবি করে, তারা কেবল গোপনীয়ভাবে উপস্থিতির তথ্য চেয়েছিল—যা প্রশাসন উপেক্ষা করেছে।

এছাড়া তারা গণমাধ্যমের তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি করে, ব্যালট পেপার নীলক্ষেতেই ছাপানো হয়েছে, যা প্রশাসনের অস্বীকারের বিপরীত। প্রশাসনের বিবৃতিকে তারা ভ্রান্তিকর বলে আখ্যা দেয়।

অভিযোগ নিষ্পত্তি 'দুই সপ্তাহ পর করা হবে' বলে প্রশাসনের ঘোষণা নিয়েও ক্ষোভ জানায় ছাত্রদল। তাদের মতে, এটি শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করা এবং জবাবদিহি এড়ানোর এক কৌশল।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ