তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবি মোতায়েন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিমানবন্দর, ৩০০ ফিট এলাকা ও গুলশানসহ বিভিন্ন স্থানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

এরই মধ্যে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে তারেক রহমানকে বহনকারী উড়োজাহাজ। দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর তিনি দেশের মাটিতে ফিরছেন। একই ফ্লাইটে তার সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। বিমানটি বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

তারেক রহমানের যাতায়াতের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগেই একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি পৌঁছানো হয়েছে। এই গাড়িতেই তিনি বিমানবন্দর থেকে পরবর্তী কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার কিছুক্ষণ আগে গাড়িটি বিমানবন্দরে আসে। তাকে স্বাগত জানাতে দলীয় নেতা-কর্মীরাও সেখানে অবস্থান নিয়েছেন বলে বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি। ফ্লাইট ‘বিজি–২০২’ বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার সূচি রয়েছে।

বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ‘রজনীগন্ধা’য় কিছুক্ষণ অবস্থানের পর তিনি সড়কপথে কুড়িল হয়ে ৩০০ ফিট এলাকায় নির্মিত সংবর্ধনা মঞ্চে যাবেন। সেখানে সমবেত জনতার উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার পাশাপাশি দুপুর ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অবস্থান করার কথা রয়েছে।

এরপর ৩০০ ফিট এলাকা থেকে বসুন্ধরা জি ব্লকের গেট দিয়ে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তিনি। বিকেল ৪টা ১০ মিনিট থেকে প্রায় এক ঘণ্টা সেখানে চিকিৎসাধীন মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পাশে থাকার সূচি রয়েছে। পরে হাসপাতাল থেকে গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসভবন ‘ফিরোজা’য় যাবেন তারেক রহমান।

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে তিন স্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। পাশাপাশি বিমানবন্দর এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে এবং সোয়াট টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।