সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমছে হার্টের রিংয়ের দাম
হার্টের চিকিৎসায় ব্যবহৃত জীবনরক্ষাকারী ‘করোনারি স্টেন্ট’ বা হার্টের রিংয়ের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ)। সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩৩টি কোম্পানির স্টেন্টের দাম কমানো হবে বলে মঙ্গলবার (১২ আগষ্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে জানান অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. আখতার হোসেন।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে তিনটি কোম্পানির ১০ ধরনের স্টেন্টের দাম কমানো হয়েছে, যা ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। নতুন মূল্যহার অনুযায়ী, স্টেন্টের দাম ১০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত এবং খুচরা মূল্য খুচরা মূল্য ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আমদানিকারক কোম্পানির ওপর নির্ভর করবে।
ডা. আখতার হোসেন বলেন, “আগে এসব স্টেন্টের দাম অনেক বেশি ছিল। সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরও ৩০টি কোম্পানির স্টেন্টের দাম কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে।”
এই দাম কমানোর উদ্যোগ গত ৩ আগস্ট সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রহণ করা হয়। ওই আদেশে স্টেন্টের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা হয়, যার ফলে বর্তমানে সর্বোচ্চ ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমেছে।
মেডট্রনিক, অ্যাবট ভাসকুলার এবং বোস্টন সায়েন্টিফিকসহ বিভিন্ন আমদানিকারক কোম্পানি সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। নির্বিচারে দাম পরিবর্তন এড়াতে একটি সুস্পষ্ট মূল্য নীতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশে হার্টের রিং মূলত ধমনীতে ব্লকেজ দূর করতে ‘অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি’ পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়। এতে ধমনী খোলা রাখতে ছোট জালের মতো একটি টিউব স্থাপন করা হয়।
দেশে ব্যবহৃত বেশিরভাগ স্টেন্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারত থেকে আমদানি করা হয়। হাসপাতালগুলোতে রোগী ও চিকিৎসকদের সুবিধার্থে স্টেন্টের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা হয়।
এই মূল্যহ্রাস উদ্যোগ দেশের হৃদরোগীদের জন্য আর্থিক চাপ কমাতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে