গণতন্ত্রকে দৃঢ় ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে: রাষ্ট্রপতি
স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হলে গণতন্ত্রকে আরও দৃঢ় ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন। তিনি ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরমতসহিষ্ণুতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ঐক্যের সংস্কৃতি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ উপলক্ষে আজ দেওয়া বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, এই দিনটি জাতীয় গৌরবের প্রতীক ও স্বাধীনতার চূড়ান্ত সাফল্যের স্মারক। বিজয়ের এই আনন্দঘন দিনে তিনি দেশের এবং প্রবাসে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতা আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন, যার পেছনে রয়েছে দীর্ঘ শোষণ, বঞ্চনা ও সংগ্রামের ইতিহাস। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতার জন্যই ছিল না; এর লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাও। তবে গত পাঁচ দশকে জনগণের পূর্ণ রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক মুক্তি এখনও সার্থকভাবে অর্জিত হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার নতুন আশা জাগিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি শেষ করেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে—এটাই মহান বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে