ঢাকার সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বে ওষুধ খাতের কৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরলেন ভার্মা
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশ–ভারতের অর্থনৈতিক অংশীদারত্বে ওষুধ (ফার্মাসিউটিক্যাল) খাত অত্যন্ত কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকায় আয়োজিত এক ‘নেটওয়ার্কিং ও নলেজ শেয়ারিং’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সক্রিয় ওষুধ উপাদান (এপিআই), প্রক্রিয়াগত প্রযুক্তি এবং ওষুধ উৎপাদন যন্ত্রপাতি সরবরাহে ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের ‘বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার’ হিসেবে কাজ করছে।
হাইকমিশনার জানান, এই খাতে দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা শুধু শিল্পের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে না, বরং অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতেও বড় ভূমিকা রাখবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘ফার্মাকানেক্ট’ উদ্যোগটি দুই দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্প–সংযোগ আরও জোরদার করবে এবং ভারত–বাংলাদেশ অংশীদারত্বকে উদ্ভাবন–নির্ভর, ভবিষ্যতমুখী কাঠামোর দিকে এগিয়ে নেবে।
মঙ্গলবার ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘ফার্মাকানেক্ট’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শীর্ষ ওষুধ কোম্পানির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশ নেন। অনুষ্ঠানের আগে ২০২৫ সালের সিপিএইচআই–পিএমইসি ইন্ডিয়ায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে সামনে রেখে প্রস্তুতিমূলক আলোচনাও হয়। সিপিএইচআই–পিএমইসি ইন্ডিয়া বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ওষুধ প্রদর্শনী।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প ইতোমধ্যে বৈশ্বিক বাজারে নিজেদের উপস্থিতি বাড়িয়েছে। প্রযুক্তি হস্তান্তর, গবেষণা–উন্নয়ন, সরবরাহ–ব্যবস্থার সংযোগ বৃদ্ধি—এসব ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে আরও গভীর সহযোগিতার বড় সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশি ওষুধ শিল্পের প্রতিনিধিরা জানান, এ ধরনের উদ্যোগ দুই দেশের সীমান্ত–পারাপার সহযোগিতা শক্তিশালী করবে, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা উন্নত করবে, সরবরাহ–ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা বাড়াবে এবং নতুন বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করবে। স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাতে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে আরও গভীর করতেই ভারতের হাইকমিশনের এ আয়োজন।
২৫ থেকে ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সিপিএইচআই–পিএমইসি ইন্ডিয়া ২০২৫–এ অনেক বাংলাদেশি কোম্পানি অংশ নেবে। এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক, উদ্ভাবক, বিনিয়োগকারী ও নীতিনির্ধারকদের অন্যতম বৃহত্তম মিলনমেলা হিসেবে পরিচিত।
‘ফার্মাকানেক্ট’ অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়—ভারতের প্রতিযোগিতামূলক ওষুধ শিল্প এবং বাংলাদেশের দ্রুত–বর্ধনশীল উৎপাদন সক্ষমতা একসঙ্গে কাজ করলে কীভাবে সরবরাহ–ব্যবস্থা শক্তিশালী হতে পারে, নতুন প্রযুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্র প্রসারিত হতে পারে এবং দুই দেশের বাণিজ্যিক সংযোগ আরও গভীর হতে পারে। ইউএনবি
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে