পোষ্য কোটা ফেরার সিদ্ধান্ত, উত্তাল রাবি ক্যাম্পাস
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ‘পোষ্য কোটা’ পুনর্বহাল করেছে ভর্তি উপ-কমিটি। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ কোটা কার্যকর হবে। নিয়ম অনুযায়ী, ন্যূনতম পাস নম্বর (৪০) পেলেই প্রতিটি বিভাগে সর্বোচ্চ দুইজন শিক্ষার্থী এ সুবিধায় ভর্তি হতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরপরই শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নামেন। শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে মিছিল বের করে তারা প্যারিস রোড হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তারা স্লোগান দেন—
‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’,
‘কোটা নয়, মেধা চাই’, ‘জনে জনে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’।
রাবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়া শুভ বলেন, ‘নির্লজ্জভাবে প্রশাসন পোষ্য কোটা ফিরিয়েছে। এর পেছনে রাকসু নির্বাচন বানচালের ইঙ্গিত আছে। আমরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছি।’
পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্স শিক্ষার্থী রিপন ইসলাম বলেন, পোষ্য কোটা বহু আগেই নিষ্পত্তি হওয়া বিষয়। এটি আবার ফিরিয়ে আনার কোনো সুযোগ নেই। প্রয়োজনে প্রাণের বিনিময়েও এ সিদ্ধান্ত ঠেকানো হবে।
ভর্তি উপ-কমিটির শর্ত অনুযায়ী— কেবল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সন্তানরা সুবিধা পাবেন। ন্যূনতম যোগ্যতা ও পাস নম্বর প্রযোজ্য থাকবে। নির্ধারিত আসনের বাইরে অতিরিক্ত হিসেবে ভর্তি হবে। কোনো বিভাগে সর্বোচ্চ দুইজন ভর্তি হতে পারবেন। শিক্ষক-কর্মকর্তারা নিজেদের বিভাগে সন্তান ভর্তি করাতে পারবেন না। অনিয়ম প্রমাণিত হলে ছাত্রত্ব বাতিলসহ অভিভাবকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুবিধাভোগীরা হলে সিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
এ বিষয়ে রাবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, ভর্তি উপ-কমিটির সভায় শর্তসাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, ভর্তি কার্যক্রম নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই সম্পন্ন হবে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে