জাতীয় নির্বাচনের জনউদ্বেগ দূর করতে সরকার ও ইসির দৃশ্যমান উদ্যোগ জরুরি: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বাড়তে থাকা জনউদ্বেগ দূর করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশন—উভয় পক্ষকেই দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বরিশালে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আয়োজিত 'প্রাক-নির্বাচনি উদ্যোগ' শীর্ষক আঞ্চলিক পরামর্শ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চলমান সংকটকালে দেশবাসী সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও মর্যাদাপূর্ণ নির্বাচন চায়। তবে এ নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে যে শঙ্কা রয়েছে, তা দূর করার দায়িত্ব সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উপরই বর্তায়।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “সংস্কার নিয়ে প্রথম পর্যায়ে প্রধান উপদেষ্টার উৎসাহ থাকলেও পরে উপদেষ্টামণ্ডলী ও আমলাদের মধ্যে নিরুৎসাহ দেখা গেছে। তাই অসম্পূর্ণ সংস্কারগুলো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।”
সভায় তিনি আরও মন্তব্য করেন, “আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে সংস্কারের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। নির্বাচনি দলগুলোর ইশতেহারে জনগণের কথাগুলো প্রতিফলিত হতে হবে। ভোটাররা যা বলবে, নেতাদের তা শুনতে হবে। সম্মিলিত কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে সংস্কারের মাধ্যমে লুটপাট তন্ত্রকে ভাঙতে হবে।”
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, অতীতে ব্যবসায়ী, আমলা ও রাজনীতিবিদদের সমন্বয়ে দেশে একটি গোষ্ঠীতন্ত্র (অলিগার্ক) তৈরি হয়েছিল, যা ‘চামচা পুঁজিবাদ’ নামে পরিচিত। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সেখানে ‘চোরতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি উল্লেখ করেন, সংস্কারের মাধ্যমে এই চোরতন্ত্র ভাঙা আবশ্যক।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে