বাণিজ্য উপদেষ্টা নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন: জ্বালানি উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টা শুল্ক কমানোর আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শুক্রবার (১ আগস্ট) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে জ্বালানি উপদেষ্টা লেখেন, 'দেশের অভ্যন্তরীণ পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল শুল্ক আলোচনায় তিনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন, সমালোচকদের হতাশ করে।'

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া আরেকটি পোস্টে জ্বালানি উপদেষ্টা জানান, কীভাবে শেখ বশিরউদ্দীনকে বাণিজ্য উপদেষ্টা হিসেবে বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় তিনি যুক্ত ছিলেন। পোস্টে তিনি লেখেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সম্ভাব্য বাণিজ্য উপদেষ্টা হিসেবে যাদের নাম বিবেচনায় ছিল, তাদের সঙ্গে দেখা করার দায়িত্ব ছিল তার ওপর। সেই সময় ভোলায় ব্যবসায়িক সফরে থাকা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয় এবং পরে ঢাকায় জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, 'পূর্বপরিচয় না থাকলেও আমাদের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টা খোলামেলা আলোচনা হয়। আমার অফিস থেকে দেওয়া নাশতাও তিনি বিনয়ের সঙ্গে গ্রহণ করেননি। তবে আমি তার মধ্যে যেসব গুণ দেখেছি, তা হলো গভীর দেশপ্রেম, যুক্তিহীন কিছু সহ্য না করার মানসিকতা এবং অনেক তথ্য একসঙ্গে গুছিয়ে বিশ্লেষণ করার অসাধারণ দক্ষতা।'

তিনি আরও বলেন, 'আমি এই মূল্যায়ন প্রধান উপদেষ্টাকে জানাই এবং আল্লাহর রহমতে তিনি তাকে দায়িত্ব দেন। আর তিনিও তা গ্রহণ করেন।'

শেষে ফাওজুল কবির খান বলেন, 'আল্লাহ তাকে হায়াতে তাইয়্যেবা দান করুন, যাতে তিনি দেশকে সেবা দিতে পারেন—হোক তা সরকারে বা বেসরকারি খাতে।'

এই মন্তব্যগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, কঠিন সময়ে দেশের বাণিজ্যনীতি ও কূটনৈতিক ব্যবস্থাপনায় এই ধরনের নেতৃত্ব বড় ভূমিকা রাখছে।