Views Bangladesh Logo

নন-কমপ্লায়েন্ট কারখানা বন্ধ হওয়া দেশের জন্য ভালো: প্রেস সচিব

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

ত এক বছরে দেশের ২৫৮টি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)। এ ঘটনায় পরোক্ষভাবে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করা হলেও, এ অভিযোগের জবাবে ভিন্ন মত দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, কারখানা বন্ধ হওয়া কোনো নতুন ঘটনা নয়; বরং এটি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের দীর্ঘদিনের কাঠামোগত পরিবর্তনের অংশ।

প্রেসসচিব লেখেন, ‘একসময় বাংলাদেশে পাঁচ হাজারেরও বেশি গার্মেন্টস কারখানা ছিল। অনেক প্রতিষ্ঠান আবাসিক এলাকায় পরিচালিত হতো এবং একটি ভবনে একাধিক কারখানা চলত। যেমন, রানা প্লাজা ভবনে পাঁচটি পোশাক কারখানা ছিল, যার একটি ছিল ফ্যান্টম অ্যাপারেলস।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯০ ও ২০০০-এর দশকে ঢাকার মালিবাগ ও গাজীপুরের মতো এলাকায় শতাধিক শ্রমিকের ছোট ছোট কারখানা ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কারখানা কমপ্লায়েন্স সমস্যা বা নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে বন্ধ বা স্থানান্তরিত হয়েছে।’

শফিকুল আলম জানান, বর্তমানে দেশে দুই হাজারের কিছু বেশি কারখানা সক্রিয়, যেখানে ১৯৯০–এর দশকে সংখ্যা ছিল প্রায় পাঁচ হাজার। তবু এখনকার রপ্তানি আয় ৪–৫ গুণ বেশি, যা তখনকার তুলনায় অনেক উন্নত।

তিনি উদাহরণ দেন, ‘এখন ইয়াংওয়ান ও হা-মীম গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠান একাই বছরে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি পোশাক রপ্তানি করছে। শুধু হা-মীম গ্রুপেই কাজ করছে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক।’
তিনি বলেন, গত ২৫ বছরে প্রায় ৩ হাজার গার্মেন্টস কারখানা নানা কারণে বন্ধ হয়েছে—এর মধ্যে কমপ্লায়েন্স ইস্যু, দুর্বল ব্যবস্থাপনা, ঋণ সংকট, খাত পরিবর্তন এবং বিদেশে পাড়ি দেওয়া উদ্যোক্তারা অন্যতম।

তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ রপ্তানি বাড়ছে, ততক্ষণ নন-কমপ্লায়েন্ট বা অনিরাপদ কারখানা বন্ধ হওয়া দেশের জন্য ভালো। বড় কারখানা মানেই সাধারণত উন্নত কমপ্লায়েন্স ও নিরাপত্তা।’

প্রেসসচিব অভিযোগ করেন, ‘বিজিএমইএ এবং তাদের ঘনিষ্ঠ কিছু সাংবাদিক কারখানা বন্ধের ঘটনাকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে উপস্থাপন করছে। এমনকি কিছু বামমুখী সমালোচকও একে শিল্প পতনের সূচনা বলে দাবি করছেন, অথচ তারা খোঁজ নিচ্ছেন না শ্রমিকরা বড় ও ভালো কারখানায় পুনরায় কাজ পেয়েছেন কি না’।

সবশেষে তিনি যোগ করেন, ‘২০০০ সালের শুরুতে দেশে যেখানে প্রায় তিন মিলিয়ন গার্মেন্টস শ্রমিক ছিল, এখন সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪.৫ মিলিয়নে। তাই কারখানা কমলেও কর্মসংস্থান ও রপ্তানি—দুটিই বেড়েছে।’

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ