ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসনসংক্রান্ত শুনানিতে বিএনপি-এনসিপি সংঘর্ষ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের প্রস্তাবিত সীমানা পরিবর্তন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুনানির প্রথম দিনেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। বিএনপি ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সমর্থকরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সামনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।
শনিবার দুপুর ১২টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের উপস্থিতিতে ইসি ভবনে শুনানি শুরু হয়। খসড়া সীমানা পুনর্নির্ধারণ প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপির নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এবং এনসিপির কর্মীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় দ্রুত ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতিতে গড়ায়।
ইসি সূত্র জানায়, খসড়া সীমানা প্রস্তাবের পক্ষে ও বিপক্ষে একাধিক আবেদন জমা পড়েছে। শুনানিতে উভয় পক্ষই তাদের অবস্থান তুলে ধরে। ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ইসির প্রস্তাবিত খসড়ার পক্ষে বক্তব্য রাখেন, অপরদিকে এনসিপির প্রতিনিধিসহ কয়েকজন অংশগ্রহণকারী এর বিরোধিতা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিজয়নগরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে রাখার দাবি জানাতে গেলে এনসিপি সদস্যদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এনসিপির যুগ্ম প্রধান সংগঠক আয়াতুল্লাহ অভিযোগ করেন, শুনানির সময় বিএনপি সমর্থকরা তাকে আক্রমণ করেছে।
“আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের বক্তব্য রাখতে গিয়েছিলাম, কিন্তু রুমিন ফারহানার সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা চালায়,” সাংবাদিকদের বলেন আয়াতুল্লাহ।
অভিযোগের জবাবে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা দাবি করেন, তার সমর্থকেরা আত্মরক্ষার্থেই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, “ওরাই আগে আমাদের ধাক্কা দিয়েছে। আমার সমর্থকরা শুধু সেই আগ্রাসনের জবাব দিয়েছে।” এনসিপি সদস্যদের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা খেয়াল করিনি তারা এনসিপি-জামাত ছিল নাকি ভাড়া করা গুন্ডা।”
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা, যার মধ্যে সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও ছিলেন, হস্তক্ষেপ করেন। শেষ পর্যন্ত শুনানি সমাপ্ত করা হয় এবং উত্তেজনা এড়াতে উপস্থিত সবাইকে কক্ষ ত্যাগের অনুরোধ জানানো হয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সীমানা চূড়ান্ত করার আগে ইসি জমা দেওয়া সব আবেদন পর্যালোচনা করবে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে