চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি অঞ্চল) মাহফুজুর রহমান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, আইনজীবী হত্যা মামলায় চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এর আগে ৫ মে আদালত পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চিন্ময়কে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।

পরে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, পুলিশের কাজে বাধা এবং ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে আরও পাঁচটি মামলা হয়। এসব মামলায় মোট ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে ২১ জন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যা মামলার আসামি চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা জানান, রিপন দাস সাইফুলের ঘাড়ে বঁটি দিয়ে কোপ দেন এবং চন্দন দাস কিরিচ দিয়ে আঘাত করেন। এরপর প্রায় ১৫–২০ জন মিলে সাইফুলকে লাঠি, ইট, বাটাম, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, চিন্ময় দাসের উসকানি ও নির্দেশেই আইনজীবী সাইফুলকে হত্যা করা হয়েছে। তাই তাকেও মামলার আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামের মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেন। পরে বিএনপি ফিরোজ খানকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময়কে ২৫ নভেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।